ঢাকা | রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

শেখ মুজিবুর রহমান আজকের এই দিনে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি পান

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:৪৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:৪৪

 

 
 
 

 


১৯৬৯ সালের এ দিনে অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়েছিলেন। সেই কারণে এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্যে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন।

বঙ্গবন্ধু আগরতলা মামলা থেকে মুক্তিলাভের পর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ১০ লাখ লোকের ঐতিহাসিক সমাবেশে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি ও সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এই উপাধি ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে গেলেন বাঙালির প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’।

(তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ বক্তব্যরত, ১৯৬৯, রেসকোর্স ময়দান।)

১৯৬৮-৬৯ মেয়াদে ডিইউসিএসইউ’র ভিপি’র দায়িত্ব পালন করা তোফায়েল আহমেদ বাসস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ঐতিহাসিক ১১-দফা আন্দোলনের ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান জেল থেকে মুক্ত করি। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির পক্ষে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদান করে।’

আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা সেদিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ডিইউসিএসইউ’র ভিপি হিসেবে আমি সমাবেশে সভাপতিত্ব করি। আমি বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেই। তখন আমি বলি, আমরা মহান এই নেতাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিচ্ছি যে নেতা তাঁর যৌবনের পুরোটা সময় পাকিস্তানি জেলে কাটিয়েছেন এবং হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছিলেন।

এরপর থেকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে পরিচিত হয়ে আসছেন। ‘বঙ্গবন্ধু’ বাংলায় যার অর্থ জনগণের বন্ধু।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, আমি গর্বের সঙ্গে বলছি আমরা আমাদের দুটি শ্লোগানকেই বাস্তবায়িত করতে পেরেছি। একটি বঙ্গবন্ধুকে কারামুক্ত এবং অন্যটি মাতৃভূমি বাংলাদেশকে স্বাধীন করা। ২২ ফেব্রুয়ারি আমরা আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করি যিনি একইসঙ্গে জাতির জনকে পরিণত হন। অন্যদিকে ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা দেশকে স্বাধীন করি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: