ঢাকা, ২৪ মার্চ ২০২০ : করোনা মোকাবিলায় মাঠপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে।
মঙ্গলবার সচিবালয় হতে এক ভিডিও বার্তায় স্থানীয় সরকার, পল্ল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছে যাতে বিদেশ ফেরত বা সংক্রমনের ঝুঁকিতে যারা আছেন তাদের ‘হোম কোয়রিন্টিন’ নিশ্চিত করা যায়।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সকল নাগরিককেই তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান। একইভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদেরও একই নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্ল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও তুলে ধরেন।
মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হলো-করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ ও মোকাবিলার লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন;বিদেশ প্রত্যাগত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ করোনা প্রতিরোধে কমিটিকে সার্বিক সহায়তার জন্য নির্দেশনা প্রদান;বিদেশ প্রত্যাগত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করাসহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদেরকে আবশ্যিকভাবে স্ব-স্ব নির্বাচনি এলাকা/কর্মস্থলে অবস্থান স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা,করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা সংক্রান্ত কার্যক্রমসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন,সমন্বয় ও নিবিড় তদারকির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা,টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য ব্যবহৃত স্থানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভবনগুলো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার উপযোগী করা; সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নোক্ত নির্দেশনা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ‘ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল’-কে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনে রাখার জন্য প্রস্তুত রাখা; সিটি কর্পোরেশন এলাকার সুবিধাজনক স্থানে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় লিকুইড/ হাতধোয়া সাবান এবং হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য স্যানিটাইজার রাখার নির্দেশনা প্রদান;‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক প্রচারণা (মাইকিং ও লিফলেট) এবং মাস্ক বিতরণ করা;যে কোন প্রকার জনসমাগম রোধকল্পে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরগণের নেতৃত্বে ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি কার্যক্রম নিশ্চিত করা;সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সম্প্রতি বিদেশ ফেরত কোন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এবং তার পরিবারের সদস্যবৃন্দকে জনসম্মুখে না আসার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রচারণা চালানো। অবাধ্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা;করোনা প্রতিরোধে এবং যে কোন প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা; সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র/ হাসপাতালগুলোকে জরুরি প্রয়োজনে প্রস্তুত রাখা; স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়-সহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়/ বিভাগ এবং অধীনস্থ দপ্তর/ সংস্থার সাথে সমন্বয় নিশ্চিত করা এবং সকল নির্দেশনা উল্লেখযোগ্য।