ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকে অর্থদণ্ডের সুপারিশ

Admin 1 | প্রকাশিত: ২ মে ২০১৭ ১৯:১১

Admin 1
প্রকাশিত: ২ মে ২০১৭ ১৯:১১

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলো নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই ব্যবসা করছে ও মুনাফা তুলে নিচ্ছে। উগ্রবাদ ও বিদ্বেষমূলক বিষয়াদি ওয়েবসাইট থেকে তুলে নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তাদের কোটি কোটি পাউন্ড জরিমানা করা উচিত। যুক্তরাজ্যের এমপিরা এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেছেন। আজ সোমবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

হাউস অব কমনসের হোম অ্যাফেয়ার্স কমিটির একটি প্রতিবেদনে এমপিরা বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও বৃহত্তম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অবৈধ ও বিপজ্জনক বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে ‘লজ্জাজনকভাবে দূরে’ রয়েছে।

গত বছর যুক্তরাজ্যের লেবার দলের এমপি জো কক্স অস্ত্রধারীর হাতে খুন হন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বহুজাতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর কাছে জনগণের নিরাপত্তার চেয়ে ব্যবসা করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনে এমপিরা উল্লেখ করেন, মালিকানা সত্ত্ব আইনের লঙ্ঘন করা কোনো বিষয়বস্তু ব্যবসায়িক স্বার্থে তারা দ্রুত অপসারণ করলেও বিদ্বেষপূর্ণ বা অবৈধ বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে তারা ‘অবাধ নীতি’ গ্রহণ করেছে।

ইউটিউবে উগ্রপন্থীদের ভিডিও পোস্টে সুখ্যাত কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন প্রতিরোধ করতে গুগলের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানি গুগল বিদ্বেষপূর্ণ বিষয়বস্তু থেকে মুনাফা করছে। পাশাপাশি তারা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে, যেখান থেকে উগ্রপন্থীরাও আয় করছে।’

অবৈধ বিষয়াদি সরাতে দেরি করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে পাঁচ কোটি ইউরো পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানির বিচার মন্ত্রণালয়—কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করে এমপিরা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলো বর্তমানে কোনো সাজাই ভোগ করছে না। সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অবৈধ বিষয়বস্তু অপসারণে ব্যর্থ হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে অর্থদণ্ডসহ বর্ধিত অবরোধ আরোপের সুপারিশ করছি আমরা।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: