ঢাকা | শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান স্থাপন, দৃশ্যমান ৪২০০ মিটার

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৭

 

মুন্সীগঞ্জ, ১১ এপ্রিল, ২০২০ : পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান আজ বসানো হয়েছে। এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ আরো এগিয়ে গেল।
বাংলাদেশ পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আজ সকাল ৯টায় ৪বি নম্বর স্প্যানটি মাওয়ার সিমান্তবর্তী ও সেতুর মাঝামাঝি সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয়েছে। ফলে, সেতু এখন দৃশ্যমান হয়েছে ৪২০০ মিটারে।
এর আগে শুক্রবার সকালের ৪বি নম্বর স্পানটি মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ড থেকে স্প্যান নিয়ে রওনা হয় ভ্রাম্যমাণ ক্রেনবাহী জাহাজ তিয়ান ই। প্রায় ৩২ শ’ টন ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ এই স্প্যান তুলে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নোঙ্গর করে। পরে এটি পজিশনিংসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হয়।
তিনি জানান, আজ সকালে এটি খুঁটির উপর তুলে দেয়া হয়। সেখানে লিফটিং ফ্রেম (স্প্যানকে ঝুলন্ত রাখার যন্ত্র) সেট করা ছিল আগে আগেই। খুঁটির উপর সেট করা ছিল বেয়ারিং। এই স্প্যান বসে যাওয়ায় জাজিরার অংশে আর মাত্র ২টি স্প্যান বাকী থাকলো। ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর খুঁটিতে ৫এ ও ৫বি নম্বর স্প্যান বসাতে হবে। এই অংশটিতে ফেরি চলাচলের চ্যানেল থাকায় বিলম্ব হয়। ড্রেজিং করে বিকল্প চ্রানেল তৈরী করে পরবর্তীতে এখানে খুঁটি বসানো হয়। সর্বশেষ ২৬ নম্বর খুঁটি সম্পন্ন হওয়ায় এখানেও শিগগিরই স্প্যান বসবে।
গত ২৮ মার্চ সেতুর ২৭তম স্প্যান খুঁটিতে উঠেছে। এরপর ৩১ মার্চ ২৬ নম্বর খুঁটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সব খুঁটি সম্পন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া চলতি মাসেই ২৯তম স্প্যানও বসে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি স্প্যান এখন মাওয়া। যার ২৭টি স্প্যান খুটির ওপর বসে গেছে। অপর ২টি স্প্যান চীন থেকে আগামী ২০ এপ্রিল রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ ২৮তম স্প্যান বসে যাওয়ার পর বাকী থাকলো মাত্র ১৩টি স্প্যান। সংশোধিত সিডিউল অনুযায়ী আগামী নবেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসে যাওয়ার কথা আছে। তবে, দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আগস্টের মধ্যে খুঁটির ওপর সব স্প্যান বসে যাবে। দ্বিতল সেতুর ওপরে থাকবে সড়কপথ আর নীচে থাকবে রেলপথ। যা এখন ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের আরও জানান জানান, পুরো প্রকল্পটিই আইসোলেটেট। তাই, এখানকার দেশী বিদেশী কর্মীরা অনেকটাই নিরাপদ। এখানে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। বাইরের কাউকেই এখানে এখন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভেতরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সবই মেনে চলা হচ্ছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন লোড নিতে সক্ষম। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: