-2020-04-07-19-30-17.jpeg)
ফাঁসির আগে নিয়মানুযায়ী ওজু ও গোসল করানো হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে। তারপর নিয়ে আসা হয় কারাগার জামে মসজিদের ইমামের সামনে। যখন তাকে তওবা পড়ানো হয়, কান্নায় ভেঙে পড়েন মাজেদ।
চিৎকার করে কান্নার এক পর্যায়ে ইমামের হাত ধরে ফেলেন বঙ্গবন্ধু হতাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আবদুল মাজেদ। ইমামের হাত ধরে তিনি চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন। এর মাঝেই তাকে তওবা পড়ানো হয়।
কারাগার সূত্রে এই তথ্য পওয়া গেছে। শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ড়িতে ঝুলিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ঢাকার জেলার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল মাজেদের ফাঁসিই এই কারাগারের প্রথম ফাঁসি। জল্লাদ শাহজাহান, সহকারী মনির, সিরাজসহ ১০ জনের একটি দল আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করেন। জল্লাদ শাহজাহান বঙ্গবন্ধুর অন্য পাঁচ খুনির ফাঁসিও কার্যকর করেন।
গত বুধবার কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মাজেদ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার তার আবেদন নাকচ করে দেন। ওই দিনই তার মৃত্যু পরোয়ানার ফাইল রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই ফাইল কারা কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হয়েছে। এরপর কারাবিধি ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: