ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

সরকারের উন্নয়ন দর্শনে স্বার্থ রক্ষা লুটেরাদের

Admin 1 | প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৭ ০৬:৫৯

Admin 1
প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৭ ০৬:৫৯

তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশ একটি ভয়ংকর জালের মধ্যে আটকে আছে। সরকারের উন্নয়ন দর্শনে কেবল লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে। তাই তরুণদের উন্নয়নের নতুন দিশা দেখাতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের বটতলায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ১২তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার একদিকে শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি, পাঠ্যপুস্তকে বিকৃতির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে চলেছে। নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংসদের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করা উচিত।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্যের কারখানা বানিয়ে রোবট তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। কারণ, লুটেরা সরকারের মধ্যে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা থাকে বিদ্রোহের। তরুণেরাই তাঁদের সবচেয়ে ভয়ের জায়গা। তাঁদের আকাঙ্ক্ষা থাকে যেন তরুণেরা স্বপ্ন না দেখে। তাঁরা যেন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। তাঁরা যত বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকবে, তাদের মধ্য থেকে তত প্রশ্ন উধাও হয়ে যায়। কিন্তু আশার কথা, সরকারগুলো এখনো তরুণদের সবাইকে জড় পদার্থে পরিণত করতে পারেনি।

বাংলাদেশে উন্নয়ন খাতে যত বরাদ্দ হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা বলে সেই পাচারের টাকা পোষাতে এখন নতুন নতুন ভ্যাট বসানো হচ্ছে, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে, চিকিৎসার ফি বাড়ানো হচ্ছে। লুটেরাদের ক্ষুধা মিটাতে গিয়ে বুড়িগঙ্গাকে নর্দমায় পরিণত করা হয়েছে। এখন জমি গ্রাস ও বন গ্রাসের ব্যবস্থা চলছে। বাংলাদেশ যে ভয়ংকর জালের মধ্যে আটকে আছে, তার সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হবে শিশুরা, তার চেয়েও বেশি, যারা এখনো জন্ম নেয়নি।

‘প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন হয় না, সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই না’ ও ‘শিক্ষা ধ্বংস রুখে দাঁড়ান, স্বৈরাচারী দুঃশাসনের বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলুন’ স্লোগান নিয়ে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক। উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: