ঢাকা | শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

জয়পুরহাটে কাল বৈশাখীর তান্ডবে দেয়াল চাপায় ৪ জন নিহত

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০ ০১:৫৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০ ০১:৫৬

 

জয়পুরহাট, ২৭ মে, ২০২০ : জেলায় উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঘুর্ণিঝড়ে প্রায় দুই হাজার বাড়ি-ঘরের টিন উড়ে যাওয়া সহ গাছ পালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই সাথে গাছ ভেঙ্গে ও দেয়াল চাপায় মাসহ দুই ছেলে ও এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে জয়পুরহাট সদর, ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলায় বাড়ি-ঘড়, মুরগির সেড, বোরো ধান, শাকসবজি, কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৪৮ ঘন্টা ধরে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঈদের আগের রাত থেকে শুরু করে তিন দফায় আঘাত হানে কাল বৈশাখী ঝড়। এতে ক্ষেতলাল উপজেলার ২০টি গ্রামের সহ¯্রাধিক বাড়ি-ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। ডাল ভেঙ্গে উপড়ে পড়ে ব্যাপক গাছ পালাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই সঙ্গে খলিশাগাড়ী গ্রামের জয়নালের স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৭), দুই ছেলে নেওয়াজ হোসেন (৭) ও নিয়ামুল হেসেন (৪) ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। এ ছাড়াও টিন উড়ে ও গাছ পড়ে আহত হওয়া ২৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আতাউর রহমান।
অপরদিকে, কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে বাড়ির উপর গাছ পড়ে মরিয়ম বেওয়া নামে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবারক হোসেন পারভেজ।
এ ছাড়াও কালাই উপজেলায় সহা¯্রাধিক বাড়িঘর, গাছপালা, জমির পাকা বোরো ধান ও শাকসবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি। সদরের জামালপুর, ভাদসা ও দূর্গাদহ এলাকার প্রায় ৬/৭শ’ গাছ পালা ও দুই শতাধিক বাড়িঘর তছনছ হয়েছে। চকদাদরা দাখিল মাদ্রাসার উপরে গাছ পড়ে পুরোটা ভেঙ্গে গেছে বলে জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায়।
এদিকে ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তিাকিম মন্ডলসহ উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডবে জেলায় ক্ষয় ক্ষতি নিরুপনের জন্য কাজ চলছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের পরিবারের জন্য ২০ হাজার করে টাকাসহ বাড়ি তৈরির জন্য টিন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর জন্য ঘর তৈরিতে ১০০ বান্ডিল টিন ও পরিবার প্রতি ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও খাদ্য সহায়তা হিসাবে ১৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: