ঢাকা | শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

সিরাজদিখানে মধ্যরাতে যুবককে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার-০৩

ahsanul islam | প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২০ ০১:৩৬

ahsanul islam
প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২০ ০১:৩৬

সিরাজদিখানে মধ্যরাতে যুবককে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার-০৩

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মধ্য রাতে সোলাইমান সরদার রনি (৩২) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিরাজদিখান থানার এস,আই বিজয় কৃষ্ণ কর্মকার ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ী থেকে অভিযান পরিচালনা করে শাওন (২৫) ও মিজান (২৬) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন। শাওন উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের হিরনের খিলগাঁও গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং মিজান বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কলাডামা গ্রামের সুলতান চাপরাশির ছেলে। গ্রেপ্ততারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২২ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২ টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রাজদিয়া গ্রামে ওই যুবকের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত তাহসিন নামে ১৪ বছরের কিশোরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পরদিন (২৩ মে) শুক্রবার সকালে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। সে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা গ্রামের মো. জিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। সোলাইমান সরদার রনি পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের মৃত মো. ফারুক সরদারের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রনি (২২ মে) বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ী ফিরে পশ্চিম ভিটির চৌচালা ঘরে ঘুমিয়ে থাকে। ওইদিন দিবাগত রাত অনুমান পৌনে ২ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে ঘরে সামনে তিনজন লোককে দেখে কে এখানে বলার সাথে সাথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দিলে উক্ত কোপ রনির বুকে ও মুখে লেগে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম হয়। ওই সময় রনি তাদের একজনকে জাপটে ধরে ডাক-চিৎকার দিলে রনির ছোট ভাই ঘর থেকে বেরিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবগত করা হলে আটক ওই কিশোরকে তার জিম্মায় রেখে পরদিন (২৩ মে) সকালে পুলিশে সোপর্দ করেন। ভুক্তভোগী সোলাইমান সরদার রনির ছোট ভাই মো. জনি বলেন, রাত দেড়টার দিকে চিৎকারে শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার ভাইয়ের শরীরে রক্তমাখা এবং সে একজনকে ধরে রেখেছে। পরে মেম্বারকে ঘটনার বিষয় জানাই। আমার ভাইকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ যদি তারা চোর হতো তাহলে বাড়ীর লোকজন দেখে পালিয়ে যেতো। কিন্তু তারা আমার ভাইকে মারা জন্য বাড়ী পর্যন্ত এসে ওৎ পেতে থাকে। যখন আমার ভাই ঘর থেকে বের হয়েছে তখনি আমার ভাইয়কে মারা জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তিনজনের মধ্যে একজন সিরাজদিখানের লোক ছিলো। যে লোকটি বাকী দুইজনকে আমাদের বাড়ী চিনিয়ে দিয়েছে। যে ছেলেটিকে আটকে রেখে পুলিশে দেয়া হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য বের হবে। আমরা অপরাধীদের বিচার চাই। সিরাজদিখান থানার এস,আই বিজয় কৃষ্ণ কর্মকার জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। স্থানীয় লোকজনের সোপর্দকৃত আসামীর দেখানো মতে ঘটনার সাথে জড়িত আরো দুইজনকে ঢাকাস্থ যাত্রাবাড়ী থেকে শাওন ও মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: