ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে দু'পক্ষের  মধ্যে সংঘর্ষ।

ahsanul islam | প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২০ ০২:২৪

ahsanul islam
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২০ ০২:২৪

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে দু'পক্ষের  মধ্যে সংঘর্ষ।

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার  চকেওয়ার ইউনিয়নে আ.লীগের দু'পক্ষের  মধ্যে সংঘর্ষ  হয়েছে। এতে দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা, ককটেল ও গুলিষ্ফোরনের ঘটনাও ঘটেছে।

এঘটনায়  ৩০-৪০টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আ.লীগ নেতা জেসমিন আক্তার ও আহম্মদ হাওলাদার পক্ষ দুইটি।

১৬ জুন সোমবার সকালে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গেলে পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে একটি পক্ষ।

সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল খন্দকার আশফাকুজ্জামান এবং সদর থানার ওসি আনিচুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল ঘটনা স্থলে যায়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুটি পক্ষকে ধাওয়া দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশকে গালিগালাজ করতে থাকে তারা। পুলিশ তাদের শান্ত হতে বললে আরো ক্ষেপে যায় তারা। এ সময় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ৫-৭ টি ককটেল নিক্ষেপ করে দূর্বৃত্তরা। পুলিশও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এসময় স্থানীয়রা জানান, খাসকান্দি এলাকার আ.লীগ কর্মী জেসমিন ও আহম্মদ হালদার পক্ষের  লোকজনের মধ্যে প্রায় তিন মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত রোববার রাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পক্ষ দুটি আবারো সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে আহম্মদ পক্ষের লোকজনকে এলাকা ছাড়া করে দেয় জেসমিনের সমর্থকরা। সোমবার ভোর চারটার দিকে আহম্মদ পক্ষের লোকজন জেসমিন পক্ষের উপর হামলা করে। এতে করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষ কয়েক শতাধিক ককটে বিস্ফোরণ করে। এলাকায় ভিতিকর অবস্থা তৈরি হয়।এসময় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়।

স্থানীয়রা আরো বলেন, দলাদলির কারণে এ এলাকার মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে। পুলিশও কিছু করতে পারছেনা।

এ বিষয়ে জেসমিন আক্তার বলেন, তিনি ঢাকার বাড়িতে ছিলেন। ভোরে জানতে পারেন,আহম্মদ এবং মজিবুররা বন্ধুক, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ঘুমন্ত সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে। ঘরের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুট পাট করে। এসময় তার পক্ষের ৮ জন গুলি বিদ্ধসহ ৯ জন আহত হয়। পুলিশি হয়রানি এড়াতে গোপনে চিকিৎসা  নিচ্ছে তারা।

তবে আহম্মদ হাওলাদার তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, জেসমিনের লোকজনের জন্য গত তিন মাস ধরে তাঁরা এলাকা ছাড়া। রোববার বাড়িতে ফিরলে জেসমিনের লোকজন তার ৬-৭ জন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করেছে। রোববার পুলিশের উপর জেসমিনের সমর্থকরা ককটেল নিক্ষেপ করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো.আশফাকুজ্জামান বলেন, পক্ষদুটি আধিপত্য নিয়ে গত তিনমাস ধরে কয়েকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সোমবার তার খুব মারমুখী অবস্থানে ছিল। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় একটি পক্ষ পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করেছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি করেছে। বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করবে। ওই দুই পক্ষ আসলে তদন্ত অনুসারে তাদের মামলাও নেওয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: