ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে আমেরিকা প্রস্তুত : বাইডেন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০১:২২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০১:২২

 

উইলমিংটন (যুক্তরাষ্ট্র), ২৫ নভেম্বর, ২০২০  : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার অভিজ্ঞ ছয় কূটনীতিক ও নীতি নির্ধারকদের পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমেরিকা ফিরে এসেছে। বিশ্বে  নেতৃত্ব দিতে আমেরিকা প্রস্তুত।’
এসব কূটনীতিক ও নীতি নির্ধারকদের নিয়ে তিনি তার জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক টিম গঠন করছেন।
এ টিমে রয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, আভ্যন্তীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী, গোয়েন্দা প্রধান, জাতিসংঘ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রাষ্ট্রদূত ।
তবে বাইডেনের মনোনয়নের পর সিনেটের অনুমোদনের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে এই টিমকে।
বাইডেন (৭৮) বলেন, এই টিম আমেরিকার বৈশ্বিক ও নৈতিক নেতৃত্ব পুনরুদ্ধার করবে।
এ সময়ে ছয় নারী ও পুরুষ মাস্ক পরে তার পেছনে দাঁড়ানো ছিলেন।
বাইডেন আরো বলেন, আমি এমন একটি টিম নিয়ে কাজ করতে চাই, যারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকার ভাবমর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে আমাকে সাহায্য করবেন, যাতে আমি বিশ্বের সামনে থাকা বৃহৎ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারি।
তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি তার দায়িত্ব গ্রহন এবং ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আবারো নেতৃত্বের আসনে বসবে এবং বিরোধীকে মোকাবেলা করবে কিন্তু মিত্রকে অস্বীকার করবে না।
তিনি আরো বলেন, এটি এমন একটি টিম যা আমেরিকার ফিরে আসার প্রতিনিধিত্ব করে। পিছু হটা নয় আমেরিকা এখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
এদিকে মঙ্গলবার পেনসিলভেনিয়া ও নেভাদা রাজ্য ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বাইডেনের জয়কে সার্টিফাই করেছে। এর আগে মিশিগানও বাইডেনের জয়কে সার্টিফাই করে। মূলত মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সার্টিফাই’ হওয়ার পরই ট্রাম্পের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হওয়ার আকস্মিক ঘোষণা আসে। মিশিগানের ঘটনা ট্রাম্পের জন্য একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচেছ।
যদিও ট্রাম্প এখনও নির্বাচনে তার পরাজয়কে মেনে নেননি। এমনকি মঙ্গলবারও তিনি টুইট করে পরাজয় না মানার কথা বলেছেন।
এদিকে বাইডেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন বারাক ওবামা আমলের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে। আর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যাক সুলিভান।
জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরকারী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে। নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সময়ই বাইডেন বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতা হাতে পাওয়ার প্রথম দিনই যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরিয়ে নেবেন।
এছাড়া নতুন মন্ত্রিসভায় জাতিসংঘে আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে কোন নারীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই বিভাগের পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আভ্রিল হাইনেসকে। তিনি এর আগে সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ও ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আর আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কিউবান বংশোদ্ভূত আলেহান্দ্রো মায়েরকাসকে বেছে নিয়েছেন জো বাইডেন।
এদিকে এই টিমে অধিকাংশই ওবামা প্রশাসনের হওয়ায় বলা হচ্ছিল তিনি সেই পুরনো ও বহুপাক্ষিক কূটনীতিতেই ফিরে যাচেছন এবং ভবিষ্যত প্রশাসন হতে যাচ্ছে ওবামার তৃতীয় মেয়াদ।
কিন্তু বাইডেন এ কথা অস্বীকার করে বলেছেন, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পৃথিবী মোকাবেলা করছি। ট্রাম্প পুরো ভূচিত্র পাল্টে দিয়েছেন। তিনি আমেরিকাকে প্রথম করতে গিয়ে একা করে দিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: