ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

জানুয়ারির প্রথম দিকেই করোনার ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫১

 

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ : ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রোজেনিকা টিকা আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনার এই টিকা আনার জন্য অনেক আগেই চুক্তি করেছে সরকার। বিশে^র অনেক দেশেরই চুক্তি না থাকায় টিকা নিতে বিলম্ব হবে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে এবং দ্রুত আর্থিক যোগান দেয়ায় বিশে^র অনেক দেশের আগেই টিকা চলে আসছে বাংলাদেশে। এর পাশাপাশি বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাও বাংলাদেশকে কিছু টিকা দিবে। সেগুলিও সরকার সময় মতো হাতে পেয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রাপ্ত টিকাগুলি থেকে ক্রমান্বয়ে দেশের প্রায় ২৭ ভাগ মানুষের টিকা প্রাপ্তি ঘটবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বৃহষ্পতিবার রাজধানীর মহাখালীস্থ বিসিপিএস ভবনে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০ এর উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নানা সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, সঠিক নিয়মে ও দক্ষতার সাথে টিকা দেয়ার ফলে হাম-রুবেলা, পোলিওসহ ১০ প্রকারের কঠিন সংক্রমণ ব্যাধি দেশ থেকে নির্মূলের পথে রয়েছে। স্বাস্থ্যখাতের সফলতায় দেশের প্রায় ৯০ ভাগ শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অতীতে বেশ কয়েকবার দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি হতে উত্তোরণকল্পে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ দেশ হতে হাম-রুবেলা দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিমিত্তে সরকার আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২০ হতে ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ সারাদেশে আরও একটি হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন-২০২০ পরিচালনা করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে। ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য হল- ৯ মাস থেকে ১০ বছরের শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি বিবেচনা করে নিরাপদ পরিবেশে জনগণ বা স্বাস্থ্যকর্মি কারও ক্ষতি সাধন না করে গুণগত মানসম্পন্ন একটি টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা নিশ্চিতকরণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মওলা বকস চৌধুরী, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমু হজুমি এবং বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. ভুপিন্দর কাউল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ক্যাম্পেইনটি গত ১৮ মার্চ ২০২০ তাখিখ হতে শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: