
নিজস্ব প্রতিবেদক
হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট কেন্দ্র করে শনিবার শহীন (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইনকিলাব ও আরটিভির মধ্যে খেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এতে ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার মাইনুল হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে তিন চার জন রেফারীর উপর হামলা চালায়। একই সঙ্গে আরটিভির খেলোয়ারদের উপর চড়াও হয়। স্টেডিয়ামের মালামাল ভাংচুর করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ বিষয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)ক্রিড়া সম্পাদক মো: মুজিবুর রহমান অধিকার পত্রকে জানান, ইনকিলাবের খেলোয়াররা এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যা খেলায় সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। রেফারির অধিকার অক্ষুন্ন রাখার পক্ষে আরটিভির ডেপুটি চিফ রিপোর্টার রাজীব খান অবস্থান নেয়ায় তার ঘাড়ে খামচি দিয়ে জখম করা হয় এবং সাবেক কার্যনির্বাহ সদস্য ফারুক খানকে কিল ঘুষি মেরে গুরুতর আহত ও করা হয়।
তিনি আরো জানান, ডিআরইউ বর্তমান কায্যনির্বাহী সদস্য মাইনুল হাসান সোহেলসহ কয়েকজন এই গর্হিত কাজে নেতৃত্বে দিয়েছেন। হামলায় খেলার স্টেডিযামের মালামাল ভাংচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় যা ডিআরইউ’র সম্মানহানিকর বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে আরটিভি টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে ইনকিলাবকে এবং প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ অপর সেমিফাইনালেও টাইব্রেকারে এসএটিভি ৫-৪ গোলে জাগো নিউজকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে। প্রথম সেমিতে ম্যাচ সেরা হন আরটিভি’র আপেল শাহরিয়ার। দ্বিতীয় সেমিতে হন এসএটিভির বাতেন বিপ্লব। ম্যাচ সেরাদের হাতে ট্রফি তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল দলের অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার ও খেলোয়াড় শিউলী পারভীন।
ফাইনাল খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উভয় দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঁঙ্গা, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর।
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা’র সভাপতিত্বে, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী। আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম, টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক মল্লিক, মো. সাহাবউদ্দিন সাহাব ও কাজী শহীদুল ইসলাম।
জানা গেছে, মাইনুল হাসান সোহেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে যার নম্বর ১৫। একই সাথে গুলশান থানায় জিডি নং-২৪। এর আগেও মাইনুল হাসান সোহেল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার হয়েছিলেন।
এছাড়া এর আগে ৬ মাস সাসপেন্ড ছিল এই সোহেল। মুছলেকা দিয়ে পরে সদস্য পদ ফিরে পায়।
এ দিকে ডিআরইউ ক্রিড়া সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আজ ২৭ মে, ২০১৭ শনিবার আরটিবি বনাম ইনকিলাবের মধ্যকার খেলায় ট্রাইব্রেকারে আরটিভি জয়লাভ করে। খেলা শেষে ইনকিলাবের খেলোয়াড়রা রেফারিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, ইনকিলাবের খেলোয়াড় ইমরান এম আতাউর, মাইনুল হাসান সোহেল, তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের ও ফারুক হোসাইন। এক পর্যায়ে ইমরান এম আতাউর, মাইনুল হাসান সোহেল ও ফারুক হোসাইন রেফারিদের গায়ে হাত তুলেন।
এছাড়া হ্যান্ডবল ফেডারেশনের আসবাবপত্রের ক্ষতি সাধন করে। এ সময় আরটিভির ডেপুটি চিফ রিপোর্টার রাজিব খান তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করলে তার উপরও আক্রমণ করেন। এতে রাজিব খান আহত হন। এক পর্যায় মাইনুল হাসান সোহেল পিছন থেকে আমাকেও পানির বোতল দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরটিভি, এসএটিভি ও জাগো নিউজের খেলোয়াড়, হ্যান্ডবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: