
দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাচাইপর্ব ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের ঘরের মাঠে এগিয়ে ছিল লিওনেল মেসির দল। যখনই মনে হচ্ছিল জুলিয়ন আলভারেজের করা গোলেই নির্ধারণ হবে ম্যাচের ভাগ্য, তখন যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে গোল হজম করে বসে আর্জেন্টিনা। এতে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভগি করে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।
আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে উড়িয়ে দেওয়া আর্জেন্টিনা ইকুয়েডরের মাঠে খেলতে গিয়ে বড় পরীক্ষার মুখে পড়লো। তারপরও জুলিয়ান আলভারেজের অভিষেক গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পথেই ছিল আলবিসেলেস্তেরা। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টিতে গোল হজম সেটা আর হলো না।
স্তাদিও মনুমেন্টাল বানকো পিচিনচায় বাংলাদেশ সময় ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ইকুয়েডরের গোলটি করেন এনের ভালেন্সিয়া।
ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও শট নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিরা ৬টি শট নেন, যার মধ্যে মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১০ শটের তিনটি লক্ষ্যে রেখেছিল ইকুয়েডর।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে ইকুয়েডর। নিকোলাস ওতামেন্দি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকোরা গোলমুখ আগলে না রাখলে বিপদ হতে পারতো অতিথিদের।
এরই মধ্যে ম্যাচের ২৪ মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েই সেটা কাজে লাগায় আর্জেন্টিনা। মেসির দারুণ পাস ডি-বক্সে ধরে ডান দিকে বল বাড়ান নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। প্রথম দফায় ঠিকমতো শট নিতে পারেননি আলভারেস। তবে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই তরুণ।
বিরতির ঠিক আগে সমতায় ফেরার সুযোগ এসেছিল ইকুয়েডরেরও। কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি পেরভিস এস্তুপিনান।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে ইকুয়েডর। ৬২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আনহেল মেনার বুলেট গতির শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
খানিক পর একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয় মাঠে। দুই পক্ষের খেলোয়াড়রা বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এই সময়ে হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনার ওতামেন্দি ও একুয়েডরের এস্ত্রাদা।। ডাগআউটে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
ম্যাচের শেষ সময়ে এসে গোল হজম করে আর্জেন্টিনা। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্সে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড ভালেন্সিয়ার স্পট কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি, কিন্তু বল হাতে রাখতে না পারায় ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভালেন্সিয়া।
এই ড্রয়ে সব মিলিয়ে টানা ৩১ ম্যাচে অপরাজিত রইলো আর্জেন্টিনা। ১৭ ম্যাচে ১১ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে স্কালোনির দল আছে দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: