ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

দেশজুড়ে তোলপাড় জানতেনই না সেই পুলিশ সদস্য

| প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২২ ০৪:১৫


প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২২ ০৪:১৫

 

টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষককে কটূক্তির অভিযোগে কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, টিপ পরায় কলেজশিক্ষককে হেনস্তা করা পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক দেশজুড়ে তোলপাড়ের কোনো তথ্যই জানতেন না। ধর্মভীরু নাজমুলের নেই স্মার্টফোন, দেখতেন না টেলিভিশন।

নাজমুল তারেক কনস্টেবল পদমর্যাদায় ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত।

তাকে শনাক্তের পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে ‘কোনো একটি ঘটনা’ ঘটার কথা স্বীকার করেছেন নাজমুল। সাধারণ ডায়েরির (জিডি) অভিযোগ তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযোগে লতা বলেন, টিপ পরায় এক পুলিশ সদস্য তাকে উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করেন সেই ব্যক্তি।

পুলিশ সদস্যের দেহের গড়ন বলতে পারলেও তখন তার নাম জানাতে পারেননি ওই শিক্ষক।

সোমবার সকালে কনস্টেবল নাজমুল তারেককে শনাক্ত করার কথা জানায় পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরে বাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে দায়িত্বরত। তিনি সচিবালয় থেকে কার্জন হলের পূর্বদিকের গেট পর্যন্ত ভিআইপি মুভমেন্টের সময় দায়িত্ব পালন করেন। নাজমুল থাকেন মিরপুর পুলিশ লাইনে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘টিপ নিয়ে নারীকে হেনস্তার পরদিনও তিনি তার নির্ধারিত জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। দেশজুড়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদের কিছুই জানতেন না নাজমুল। কারণ তিনি ধার্মিক প্রকৃতির হওয়ায় স্মার্টফোন ব্যবহার করতেন না। দেখতেন না টেলিভিশন। একটি সাধারণ (ফিচার) নোকিয়া ফোন ছিল নাজমুলের।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: