ঢাকা | শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
সাভারে আমারা দুইভাই

আমি "সমর ও আমার ভাই মঞ্জুরুল আলম রাজীব " সাভারের একটা পিছ সবাইকে এটা মেনেচলতে হবে

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২১

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২১

ডিনারের দাওয়াত দিয়ে সংবাদকর্মীকে মারধর করলেন ইউপি চেয়ারম্যান
স্টাফ রিপোর্টার
সাভারে একটি রেস্টুরেন্টে স্থানীয় সাংবাদিকদের ডিনারের দাওয়াত করে ডেকে এনে মারধর করলেন বহুল আলোচিত উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। সাভারের হেমায়েতপুর ও তেঁতুলঝোড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির রিপোর্ট করার জের ধরে সোমবার রাতে তার নিজ এলাকা হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ডের লালন টাওয়ার অবস্থিত অরতরো রেস্টুরেন্টে এই মারধরের ঘটনা ঘটান।
ডিনারে অংশ নেওয়া একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ করেন, নানা কারণেই বিভিন্ন সময়ে সকল শ্রেণী-পেশার লোকজনের কাছে সমালোচিত হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর। এরই ধারাবাহিকতায় সাভারের হেমায়েতপুর সিংগাইর চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকেও প্রকাশিত হলে সাভার মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় এলাকার প্রধান চাঁদাবাজ ইমান আলীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম এর সহযোগী কয়েকজন চাঁদাবাজের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এবং সেই অনুযায়ী সংবাদকর্মীরা চাঁদাবাজদের নাম উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিশোধ নিতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর। যে কারণে সোমবার রাতে সকল সংবাদকর্মীদের ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে একজন সংবাদকর্মীকে মারধর করে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন। এ সময় তিনি উপস্থিত অন্যান্য সংবাদ কর্মীরা মারধরে বাধা প্রদান করতে চাইলে সকল সাংবাদিককে শাসিয়ে বলেন আমি ফখরুল আলম সমর এবং আমার ভাই বিনা ভোটে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম রাজীব সাভারের একটা পিস। কাজেই নিউজ করার আগে চিন্তা ভাবনা করে করতে হবে অন্যথায় সাভার ছেড়ে চলে যেতে হবে বলেও হুমকি প্রদান করেন।
এর আগে সকল সাংবাদিকরা উপস্থিত হওয়ার পর চেয়ারম্যান ফকরুল আলম তাহার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে উপস্থিত হন । এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাভারের নিউজ ২৪ রিপোটার নাজমুল হুদা সহ আরো অনেক সাংবাদিক । পরিচয় পর্বের এক সময় দৈনিক সরেজমি পত্রিকার রিপোর্টার ,অনলাইন কিউ টিভি বাংলার স্টাফ রিপোর্টার দিদার আহমেদ কে চেয়ারম্যান ও তাহার সাঙ্গ পাংরা মারধর শুরু করেন । এ সময় অন্য সাংবাদিকেরা বাধা দিতে চাইলে তাদেরকেও তিনি শাসাতে থাকেন এবং তিনি উচ্চস্বরে বলেন আমারা দুইভাই , আমি সমর ও আমার ভাই মঞ্জুরুল আলম রাজীব সাভারের একটা পিছ সবাইকে এটা মেনেচলে হবে , এই বলে ভয় ভিতি দেখিয়ে অন্য সাংবাদিকদের এই পেশা থেকে সরে যেতে বলেন ।
বহুল সমালোচিত চেয়ারম্যান ফকরুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত হন । নির্বাচনের পর থেকেই শুরু হয় তাহার ক্যাডার বাহিনীর ভিবিন্ন তান্ডপ , চাঁদা বাজী তাহার বাহীনির প্রধান কাজ ।কথিত আছে হেমায়েতপুরে সকল ফুটপাত ও স্কুলের নামে দেয়া লায়ন্স ক্লাবের দেয়া জায়গায় তিনি মাকেট বসিয়ে মোটা অংকের টাকা ও দোকান ভাড়া নিয়ে থাকেন ফখরুল আলম সমর। কিছু দিন আগেও তিনি চুলকাটা নিয়ে সমালোচনায় আসেন । সময় এলাকার সকল সেলুন মালিকদের ডেকে তিনি মিটিং করে বলেদেন সবাইকে যেনো সমর চেয়ারম্যনের মতো চুল কেটে দেয়া হয় –এ নিয়ে ৭১ টিভিতে লাইভে আনাহলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেন নি । পোরো সাভারেই সমর চেয়ারম্যানের রাজত্ব চলে । সাধারণ মানুষ চেয়ারম্যন ও তাহার পান্ডা বাহিনীর কাছে জিম্মি ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: