ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
সম্রাটের সাথে ৬ মাস আগে "আঞ্জুমানের" প্রয়োজনে আলাপ করলে ও বলে যা কিছু করা দরকার আমি করব।

আমার মৃত্যুর পর আঞ্জুমানের খাটে আমার লাশ যেন উঠানো হয়, এই দাবী ছিল সম্রাটেরঃআঞ্জুমানের সহ-সভাপতি

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১৩

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১৩

আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের  কাকরাইলের ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের অভ্যন্তরীন ঝামেলার কারণে চাঁদা দাবির কারনে নয় । ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কাজের মান,  সঠিক সময়, সর্বোপরি অন্তরীন ঝামেলার কারণে। আগামী ৩ অক্টোবর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকের পরে পুনরায় কাজ করা হবে। বেওয়ারিশ লাশ দাফন এবং এতিম শিশুদের লালন-পালনসহ নানা দাতব্য কাজ করে আসা সেবামূলক এ সংস্থাটিকে কাকরাইলে ৩০ কাঠা জমি দান করেন জামিলুর রহমান। তার দান করা সেই জমির ওপর ১৮ তলা নিজস্ব ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দান ও অনুদানে ভবনের নির্মাণ কাজ চলছিল। সম্প্রতি যুবলীগ দক্ষিণের এক নেতার বিরুদ্ধে এই ভবন নির্মাণে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে। ঢাকা মহানগর দঃ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ,  এর জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্নিত হয়ে একটি সর্থাননেষী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে করেন অনেকেই।            

এ বিষয়ে আঞ্জুমান মফিদুলের নতুন ভবনের প্রজক্ট ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মো: আবুল বাসার খান,  এ প্রতিবেদক কে বলেন,  "কাজ বন্ধ রয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কারণে "। আগামী ৩ তারিখ আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করব। তারপর আবার কাজ শুরু করব। চাঁদা দাবির কারণে কাজ বন্ধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ৪ মাস যাবৎ দায়িত্ব পালন করছি। এ বিষয়ে আমার জানামতে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমন কোনো কথা আমার কানেও আসেনি। তাহলে আঞ্জুমানের কাজ বন্ধ অভ্যন্তরীন সমস্যার কারণে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ। আমরা মিটিং করে আবার দ্রুত কাজ শুরু করব।

জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের ভবন নির্মাণ কাজে চাঁদা দাবির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে গণভবনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীকে তদন্তে সত্যতা মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
এদিকে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদার অভিযোগ প্রসঙ্গে আঞ্জুমান মফিদুলের সহ-সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার, এই প্রতিবেদক কে বলেন, আমি আঞ্জুমান মফিদুলের সহ- সভাপতি , এবং এই নির্মাণ কাজের সঙ্গে আমার সম্পৃক্তা আছে। যেহেতু আমি এই এলাকায় রাজনীতি করি, সে কারণে ভবন নির্মাণের দায়িত্ব আমাকেই দেয়া হয়। সম্রাটের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার নূন্যতম কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং ৬ মাস আগে যখন আমি আঞ্জুমানের একটি বিষয় নিয়ে সম্রাটের সঙ্গে কথা বলি, তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, আঞ্জুমানের জন্য যা কিছু করা দরকার আমি করব। কিন্তু আমার একটা দাবি রাখতে হবে দাবিটা হলো আমি যখন মারা যাব তখন যেন "আঞ্জুমানের খাটলিতে " আমার  "লাশ" উঠানো হয়। সম্রাটের বিরুদ্ধে  চাদাবাজির এই কথাটা মনগড়া, কাল্পনিক,  যা ইতিমধ্যে  আমি অনেককেই অবহিত করেছি যানিয়েছি বলেন ট্রাস্টি ওসমানি সাহেব, আজিম সহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, উনারা বলেছেন তারা কিছু জানেন না। কেউ তো বলেনি যে সম্রাট চাঁদা দাবি করছে? বা কারো জন্য সুপারিশ করছে?



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: