বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সুচিকিৎসা বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা শাখার কার্যালয়ে (১ জুন) বুধবার বিকাল ৪ টায়  ‘পুষ্টি পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই দুগ্ধ শিল্প’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি সংগঠনের উপদেষ্টা ডা.শাহাদাৎ হোসাইন'র সভাপতিত্বে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট গবেষক ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ। 
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য  মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী,ফেনী জেলা শাখার সদস্য সচিব ফয়সাল হোসাইন ফাহাদ, নোয়াখালী জেলা শাখার সদস্য সচিব আনোয়ার হোসাইন সুমন সহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।  
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, 
 দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের উপকারিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উদ্যোগে ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর জুন মাসের প্রথম দিনে দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথভাবে রোগীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন  জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ চট্টগ্রাম জেলা শাখার আজকের  আয়োজন।
ডা.মাজেদ আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও দুগ্ধ সেক্টরের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আজকের দুগ্ধ দিবসের মাধ্যমে সারাদেশে আলোচনা চলছে। ফিড মালিক ও ব্যবসায়ীদের ভাবতে হবে কিভাবে দুগ্ধ খামারিদের বাঁচানো যায়।’ আর দুধের মধ্যেই সব ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। দুধ হচ্ছে সুপার ফুড বা সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার। দুধের পুষ্টিগুণ আপনাকে সুস্থ, সবল ও নিরোগ রাখবে। প্রতিদিন ঘুমের আগে সব বয়সের মানুষের এক কাপ বা এক গ্লাস দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দুধের মূল উৎস গরু। ৯০ শতাংশ দুধ আসে গরু থেকে, আট শতাংশ আসে ছাগল থেকে এবং দুই শতাংশ আসে মহিষ থেকে। ১৯৮৯-৯০ থেকে ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ২.৪ শতাংশ, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৬.৪৪ শতাংশ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন ছিল ২৩.৭০ লাখ টন, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে উন্নীত হয়েছে ১০৬.৮০ লাখ টনে।
বর্তমানে মাথাপিছু দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১৯৩.৩৮ মিলিলিটার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫২.০২ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে দুধ উৎপাদন হয় ১০৬.৮০ লাখ টন।২০২০-২০২১ অর্খবছরে৷ মোট চাহিদা ১৫৪.৯৪ লাখ মে.টন বিপরীতে উৎপাদন ১১৯.৮৫ লাখ মে.টন। জন প্রতি প্রাপ্যতার দিক দিয়ে দিনে ১৯৩.৩৮ মিলি. এহিসেবে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.০৫ লাখ মে.টন।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ক্রমবর্ধমান জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। দুধ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আধুনিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নানা ধরনের দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদন করা হচ্ছে যার সাথে জড়িত আছে বিশাল শ্রমশক্তি। দেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রত্যক্ষভাবে ২১ শতাংশ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ শতাংশ প্রাণিসম্পদের উপর নির্ভরশীল।
মোট আমিষের ৮ শতাংশ আসে দুগ্ধ সেক্টর থেকে। গত দশ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। 
                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: