 
                                চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনো পুরোপুরি নেভেনি। কন্টেইনার ডিপো থেকে আগুনের ধোয়া বের হচ্ছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পর দুই দিন পার হলেও টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঘটনাস্থলে কাজ করছে সেনাবাহিনীও। কিন্তু এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ডিপোর ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান।
জানা গেছে, বিএম ডিপোর পশ্চিম পাশের কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। তাছাড়া আশপাশের আরও কয়েকটি কনটেইনার থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ওপর থেকে এসব কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। রাসায়নিক মিশ্রিত পানি যাতে সমুদ্রে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সেনা সদস্যরা কাজ করছে। 
একটি গাড়ির পানি শেষ হলে আরেকটি পাঠানো হচ্ছে। ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছে পুলিশের একটি দল। আছে কড়া নিরাপত্তা।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বাসস’কে বলেন, আমরা এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছি। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগবে। বিভিন্ন কনটেইনারে এখনো আগুন জ্বলছে, ধোয়া বের হচ্ছে। আমরা সাবধানতার সঙ্গে সেগুলোতে পানি দিচ্ছি। আর যেসব কনটেইনার আগুনে ক্ষতি হয়নি সেগুলো নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছি। 
ফায়ার সাভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমাদের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ডিপোর সবগুলো শেডের ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায় নি। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আশঙ্কা, আশপাশে থাকা কনটেইনার গুলোতে রাসায়নিক না থাকলে হয়তো আগুন আর বেশি ছড়াবে না। কিন্তু রাসায়নিক থাকলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা আছে। রাসায়নিক আছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা সীতাকু- থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুমন বণিক বাসস’কে বলেন, আগুন জ্বলছে। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ধোয়াও উঠছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামে সীতাকু-ে বিএম ডিপোতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগার পর ভয়াবহ কনটেইনার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশত মানুষ নিহত এবং প্রায় চার শতাধিক আহত হন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরণের কারণে বারবার বিস্ফোরিত হয় কন্টেইনার। আগুনের তীব্রতার কারণে প্রথম দিকে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    -2018-03-31-23-44-09.jpeg) 
                                                     
                                                     
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: