odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 28th October 2025, ২৮th October ২০২৫

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি কেমন চলছে তার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২১ August ২০২২ ০৭:৩১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২১ August ২০২২ ০৭:৩১

হলিউডের জনপ্রিয় জুটি ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এক সময় অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তারা। শুধু সিনেমা নয়, বাস্তব জীবনেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন এই তারকা দম্পতি। তবে সবাইকে অবাক করে ২০১৬ সালে তারা বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এরপর নানা বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালতে

বিচ্ছেদের পর ৭ বছরের বেশি পার হলেও ব্র্যাড ও জোলির সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কিন্তু এত সুন্দর সম্পর্কের অবনতি কেনো হয়েছিল সে সম্পর্কে তখন মুখ খোলেননি এই তারকারা। তবে এবার জানা গেলো, ২০১৬ সালে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল, যে কারণে ব্র্যাডের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জোলি।

জানা গেছে, ঘটনাগুলো ঘটেছিল একটি ফ্লাইটে। ব্যক্তিগত বিমানে যাওয়ার সময় হঠাৎ জোলির ওপর চড়াও হন ব্র্যাড। জোলিকে বিমানের পেছন দিকে নিয়ে গিয়ে কাঁধ ধরে ঝাঁকাতে থাকেন ব্র্যাড। চিৎকার করে বলেন, ‘তোমার জন্যই পরিবারের শান্তি নষ্ট হচ্ছে।’ প্লেনে উপস্থিত সাবেক এই দম্পতির এক সন্তান তখন বলে, ‘মা নয়, তোমার কারণেই পরিবারের শান্তি নষ্ট হচ্ছে।’ ব্র্যাড তখন সন্তানকেও মারতে যান। জোলি পরে তাকে সামলা

ওই ঘটনা নিয়ে পরে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করেছিলেন জোলি। এফবিআইয়ের এক এজেন্টের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্র্যাডের বিরুদ্ধে ওই ফ্লাইটে আরও কয়েকবার জোলিকে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ উঠে এসেছে। ব্র্যাডের আঘাতে জোলির কনুইসহ আরও কয়েক জায়গায় আঘাত পাওয়ার কথাও উল্লেখ আছে। পরে জোলি বিভিন্ন সময় ব্র্যাডের বিরুদ্ধে মদ খেয়ে মাতলামির অভিযোগ করেন।

স্ত্রী, সন্তানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও মদ খাওয়ার অভ্যাসের কথা স্বীকার করেছিলেন ব্র্যাড। জানা গেছে, ফ্লাইটের ওই ঘটনার পরই ব্র্যাডের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জোলি। ২০১৬ সালের আগস্টে করা সেই অভিযোগের পর শিশু নির্যাতনের অভিযোগে ব্র্যাডের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এফবিআই ও লস অ্যাঞ্জেলেসের শিশু ও পরিবারবিষয়ক দপ্তর। এর পরই ব্র্যাডের সঙ্গে বিচ্ছেদর ঘোষণা দেন জোলি। পরে এক বিবৃতিতে পানাহার ছাড়ার ঘোষণা দেন ব্র্যাড পিট।

ইত্তেেফাক



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: