
সোমবার এই ঘটনার পর ভারতীয় সেনা সদস্যরা বাধা দিলে চীনা সৈন্যরা পিছু হটে বলে ভারতের সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা বলেন, “তারা আরও এগোতে চেষ্টা করেছিল এবং নিজেদের কর্মকাণ্ড ভিডিও করছিল। “আমরা তাদের আটকাই এবং পিছু হটিয়ে দিই। তবে আমাদের বা তাদের কেউ গুলিবর্ষণ করেনি।”
সেখানে কোনো গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি এবং এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জোর দিয়ে বলেন ভারতীয় এই সেনা কর্মকর্তা।
এই ঘটনা নিয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, চীনাদের ‘অস্বাভাবিক আগ্রাসীভাবের’ কারণে সিকিম সেক্টরে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে তারা।

ভালো সম্পর্ক চলাকালে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে ভারত ও চীনের কর্মকর্তারা
এ বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সামরিক সূত্রে জানা যায়, সিকিমের লালটেন এলাকায় ভারতীয় বাঙ্কারের বিরোধিতা করে আসছে তারা। বাঙ্কারগুলো তাদের সীমান্তের মধ্যে পড়ছে বলে দাবি চীনাদের।
এই মাসের শুরুর দিকেই তিব্বতের মানস সরোবরমুখী ৪৭ জন ভারতীয় পুন্যার্থীকে আটকে দিয়েছিল চীনা সৈন্যরা।
সে সময় চীনারা বলেছিল, ভূমিধসে ওই লেকে যাওয়ার পথগুলো চলাচলের উপযোগী নেই। তিব্বতের পাশের সিচুয়ান প্রদেশে এ ধরনের ভূমিধসে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
সে সময় তাদের এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি নয়া দিল্লি। সীমান্তে চীনারা কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলে সন্দেহ থেকে বিষয়টি বেইজিংয়ে তোলা হয়েছিল।
এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। দক্ষিণ চীন সাগরে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত পেশী শক্তি প্রদর্শনের সম্ভাবনার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে চীন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: