ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
বাজার দর

পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ল

MASUM | প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০১৭ ১৬:৪৫

MASUM
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০১৭ ১৬:৪৫

রাজধানীর বাজারে এক দিনে কেজিপ্রতি আরও ৫ টাকা বাড়ল পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৬০-৬৫ টাকায়। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায়।

এ নিয়ে গত এক মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাস আগে প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ২২ থেকে ৩২ টাকা ছিল। এক মাসে পণ্যটির দাম ৯৪ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ব্যবসায়ীরা আগের মতোই বলছেন, ভারতে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়েছে।

পেঁয়াজের মতোই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বেশির ভাগ সবজির দাম বিক্রেতারা কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বা তার বেশি চাইছেন। পাঁচটি সবজির দাম ৮০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি হাঁকছেন তাঁরা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজারে গতকাল প্রতি কেজি করলা ১০০ টাকা, বরবটি, ঝিঙে, বেগুন ও ঢ্যাঁড়স কেজি প্রতি ৮০ টাকা চাইছিলেন বিক্রেতা মো. রাসেল। অন্যদিকে চিচিঙ্গা, পটোল ও কচুর লতি ৬০ টাকা এবং কচুমুখি, কাঁকরোলসহ কয়েকটি সবজি ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল তাঁর দোকানে। ৫০ টাকা কেজির নিচে কী কী সবজি আছে জানতে চাইলে ওই বিক্রেতা বলেন, কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা ও জালিকুমড়া প্রতিটি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি।

এ ছাড়া দেশি শসা ৮০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৫০ গ্রাম ৪০ টাকা ও গাজর মানভেদে ৬০ ও ১০০ টাকা চাইছিলেন মো. রাসেল। বাজারে সাধারণত সবজির দাম কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে থাকে। এখন দর এত বেশি কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্যায় সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত দাম কমবে না।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির পাশাপাশি চড়া মাছের দামও। যদিও ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। শেওড়াপাড়া বাজারে এক কেজি ওজনের এক জোড়া ইলিশ বিক্রেতা ২ হাজার ৮০০ টাকা চাইলেন। কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারে তা ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রিতে রাজি ছিলেন বিক্রেতারা।

মোহাম্মদপুরের মাছ বিক্রেতা মো. রায়হান বলেন, ‘মেপে এক কেজি ওজনের ইলিশ দেব, দাম পড়বে একটি বারো শ টাকা।’ তিনি বলেন, ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, দামও কিছুটা
কমেছে। মাঝারি ইলিশ (৬০০ গ্রাম) ৫০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান তিনি। অন্যান্য মাছের বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে নদীর মাছ নেই বললেই চলে। চাষের মাছের সরবরাহও কম। এ কারণে দাম বেশি। রুই মাছের কেজি ৪৫০ টাকা চাইছিলেন তিনি।

শেওড়াপাড়া বাজারে গতকাল মাছ কিনতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান। বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে মূল্যায়ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সবজি, মাছ, গরু ও খাসির মাংস এবং চালের বাজার খুব চড়া মনে হচ্ছে। গত পরশু এক বস্তা চাল কিনেছি ২ হাজার ৮০০ টাকায়। যা আগে ২ হাজার ২০০ টাকা ছিল।’ তিনি বলেন, দিন দশেক আগে পেঁয়াজ কিনলাম ৩৫ টাকায়, এখন সেটা ৬৫ টাকা চাচ্ছে। চিনি, আটা, মসুর ডাল, সয়াবিন তেলের বাজার স্থিতিশীল আছে বলে উল্লেখ করেন ওই ক্রেতা।

শেওড়াপাড়া বাজারে বাছাই করা দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, সাধারণ দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা। গরুর মাংস ৫০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ১৫০ টাকা কেজি দরে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: