ঢাকা | শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আবারো ১৪ বছরের ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচনায়

নন্দীগ্রাম গছাইল মাদ্রাসার শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মাহবীর।

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৬


বগুড়ার নন্দীগ্রামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের গছাইল গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাহবুবুর রহমান (৪৩) একই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নাছিমা খাতুনকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। শিক্ষক মাহবুবুর রহমান গছাইল গ্রামের মৃত আবু জাফরের ছেলে। সে গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (ক্রীড়া) পদে চাকুরি করাকালীন সময়ে ছাত্রী নাছিমা খাতুনের প্রতি তাঁর কুনজর পড়ে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর মাহবুবুর রহমান ছাত্রী নাছিমা খাতুনকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যায় গোপনে বিয়ে করেন।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসীদের মধ্যে চলছে নানা ধরনের গুনজন। শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। প্রথম স্ত্রীও মাহবুবুর রহমানের ছাত্রী ছিল। তাঁর ওই পক্ষের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।

এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার বাকী বিল্লাহ বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় বার্ষিক দোয়া মাহফিল ছিলো। সেদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন। পরে জানতে পারি তিনি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নাছিমা খাতুনকে বিয়ে করেছে। তিনি ছাত্রীকে বিয়ে করে ঠিক করেনি। এ বিয়েকে বাল্যবিয়ে হিসেবে গণ্যকরা হয়।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রায়হানুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষন আগে বিষয়টি শুনলাম। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: