
---
“পায়ের নীচে আরাধনা,
ক্ষমা চাই করি সাধনা।
সৃস্টিকর্তার আদেশ হেতু,
কৃতজ্ঞতার বন্ধন সেতু।
গড়বো বাবা-মায়ের সাথে,
স্নেহ ভালবাসা তাঁদের হাতে।
দোয়া চাইবো তাঁদের কাছে,
যাবে সন্তান সততার পিছে”।
যদিও প্রতিটি দিনই’তো মা’কে সম্মান আর কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন। তারপরেও পৃথিবীতে পালিত দিবসগুলোর আলোকে আজ ‘মা’ দিবস’ বা ‘Mother’s Day’। আজ মনে পড়ছে একটি অসম্ভব সুন্দর বার্তাবহ হাদীসের কথা, আর তা হলো -”মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত”। আমার মা সৈয়দা মাহমুরা হানমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সাথে সাথে পৃথিবীর সকল স্নেহময়ী মায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ লেখাটি রচিত। আমার উপরের কবিতাটি ‘মা’য়ের চরণ তলে স্বর্গ’ এই আলোকে পবিত্র হাদীসের অনুপ্রেরণায় রচিত আরাধনার এক প্রতিচ্ছবি। প্রাসঙ্গিকভাবে পবিত্র কোরআনের কয়েকটি আয়াত এখানে উল্লেখ করলাম। আয়াতগুলোর আলোকেই উপরের কবিতায় আল্লাহতালার কাছে চেয়েছি সন্তানদের জন্য সৎ পথের আলো, মা-বাবার কাছে দোয়া চাওয়ার মাধ্যমে। আর আমাদের ভুলের জন্য মা- বাবার কাছে ক্ষমা চাইবো এবং রইবো চির কৃতজ্ঞ তাঁদেরই প্রতি, সেই মহান সৃষ্টিকর্তার আদেশের আলোয় শক্ত এক সেতু গড়ে……
“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়াতে লেগেছে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন শক্তি-সামর্থের বয়সে ও চল্লিশ বছরে পৌছেছে, তখন বলতে লাগল, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম” (৪৬:১৫)।
“তোমার রব ফায়সালা করে দিয়েছেনঃ তোমরা তাঁর ইবাদাত ছাড়া অন্য কারোর ইবাদাত করো না, পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার কর৷ যদি তোমাদের কাছে তাদের কোনো একজন বা উভয় বৃদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাহলে তাদেরকে ‘উহ্’ পর্যন্তও বল না এবং তাদেরকে ধমকের সুরে জবাব দিও না বরং তাদের সাথে সম্মান ও মর্যাদার সাথে কথা বল”(১৭:২৩)।
“আর দয়া ও কোমলতা সহকারে তাদের সামনে বিনম্র থাক এবং দোয়া করতে থাকো এই বলেঃ হে আমার প্রতিপালক! তাঁদের প্রতি দয়া কর, যেমন তাঁরা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন৷”(১৭ :২৪)।
“আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে”(২৯:৮)।
“আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে” (৩১ :১৪)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: