
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় ফিরবেন।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন তিনি।
আজ সোমবার কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে লন্ডন থেকে রওনা করে পরদিন মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়া ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন।
শনিবার রাত ১২টায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস’কে এ তথ্য জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্দেশনায় এ তথ্য জানান শায়রুল কবির খান।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদমাধ্যমে জানান, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরবেন খালেদা জিয়া।
তারও আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাংলাদেশ বিমানে করে দেশে আসার কথা ছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান ও দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হকও সঙ্গে থাকবেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো।
এ নিয়ে গত কয়েকদিনে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভাও করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় দলের ঢাকা মহানগর ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন এমন নিশ্চয়তা আমরা পেয়েছি।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। করোনা মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধ যুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন খালেদা জিয়া।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: