ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিদ্যুতের চাহিদা চাহিদা তীব্র হবে এপ্রিলে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:১২

এপ্রিলে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে। তীব্র গরম, রমজানের অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা, সেচের জন্য ব্যবহৃত বাড়তি বিদ্যুৎসহ সব মিলিয়ে এই চাহিদা তৈরি হতে পারে, যা চলতে পারে আগামী জুন পর্যন্ত।

আর এর বিপরীতে বিদ্যুতের জোগান হতে পারে সব মিলিয়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট-এমনটি মনে করছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সংশ্লিষ্টরা। আর বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ অবস্থায় লোডশেডিং ২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এতে আসন্ন রমজানে রোজাদার ও সেচ গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। এ অবস্থায় গ্রামের মানুষ আর শিল্প-কলকারখানার মালিকদের জন্য এই সময়ে আরও বড় রকমের দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে।

এদিকে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় সর্বত্র জেনারেটর আর আইপিএস বিক্রির ধুম পড়েছে। সবচেয়ে বেশি জেনারেটর বিক্রি হচ্ছে আবাসিক ভবন আর শিল্প-কলকারখানায়।

দেশের সবচেয়ে বড় জেনারেটর উৎপাদনকারী কোম্পানি এনার্জিপ্যাকের চিফ বিজনেস অফিসার মাসুম পারভেজ বলেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। কিন্তু এখনো শিল্পকারখানার মালিকরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে তাদের জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ যুগান্তরকে বলেন, গ্যাস, কয়লাসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি অব্যাহত থাকলে সংকট খুব বেশি হবে না। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সব ধরনের জ্বালানি আমদানিতে মাসে গড়ে অন্তত ১২৫ কোটি ডলার লাগে। বিশ্ববাজারে এলএনজি, কয়লার দাম কিছুটা কমতির দিকে।

গ্রীষ্মে আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি আছে। ইতোমধ্যে এলএনজি আমদানি বাড়ানো হয়েছে। এখন মূল চ্যালেঞ্জ ডলারের জোগান। তাহলেই সংকট গত বছরের মতো তীব্র হবে না বলে আমরা মনে করছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: