
শ্রীলংকায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার কলম্বোতে শ্রীলংকার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রশিদ বাথিউদ্দিন এর সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে সময় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্রুত সভা আহবান করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরী পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। গ্লোবাল অ্যাপারেল সাপ্লাই চেইন সৃষ্টির করে শ্রীলংকায় রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এতে করে দ্বি-পাক্ষীক বাণিজ্য বাড়বে। সেজন্য শ্রীলংকা সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলংকার সাথে এফটিএ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। এ বিষয়ে উভয়দেশর নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে এ সংক্রান্ত সকল কাজ সম্পন্ন করা যাবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য রপ্তানি পণ্য সংখ্যা ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধাণ করেছে। এ সময় শ্রীলংকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যাংককে থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে দ্বি-পাক্ষীক বৈঠক করেন। এ সময় বিগত ৯-১০ আগষ্ট ঢাকায় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট ট্রেড কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের কাছে সে সকল পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা চেয়েছে, সে গুলোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তের আহবান জানান। থাইল্যান্ডের সাথে এফটিএ করার সম্ভাব্যতা জাচাই করতে যৌথ টিম গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসময় থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রমূত সাইদা মুনা তাসনিম বাণিজ্যমন্টত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: