
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব কাজের পেছনে তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার অসামান্য অবদান ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যতবারই আব্বাকে জেলে যেতে হয়েছে মা কখনোই মনোবল হারাননি। সংসাদের সব ঝামেলা থেকে তাঁকে দূরে রাখতেন। ছাত্রলীগের একটা যোগাযোগ মায়ের সঙ্গে ছিল। তিনি আত্মপ্রচারে বিশ্বাস করতেন না। পর্দার আড়ালে থেকেই সব করতেন। ছয় দফাকে কেন্দ্র করে পুরো আন্দোলনটাই আমার মা গড়ে তুলেছিলেন। বাবার প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি সমর্থন দিতেন।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়নে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
ছয় দফা হবে না আট দফা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে সৃষ্ট বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একসময় ছয় দফা হবে না আট দফা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হলো। পাকিস্তান থেকে দলের নেতারা আসলেন। আওয়ামী লীগের একটা গুণ আছে দলের তৃনমূল নেতারা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু উঁচু মহলে গেলে একটু উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। তখন দেখেছি অনেক বড় বড় নেতারা আট দফার দিকে জোর দিচ্ছেন। কিন্তু মার একটাই কথা ছিলো উনি (বঙ্গবন্ধু) ছয় দফা দিয়ে গেছেন, এর বাইরে যাওয়া যাবে না। তখন মায়ের পক্ষে ছিল পার্টির তৃনমূল কর্মী আর ছাত্রলীগ। পরে ২/৩ দিন মিটিংয়ের পরে সিদ্ধান্ত হয় ছয় দফাই থাকবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: