
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল ট্রাম্প প্রশাসনে বড় প্রভাব থাকবে ইভাঙ্কার। তাই হয়েছে । মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এখন তার পিতার একজন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মিঃ ট্রাম্প এবার প্রথম এশিয়া সফর করছেন। উঃ কোরিয়াকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই প্রায় ১১দিনের এ সফরে জাপান ও দঃ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ সফর করছেন ট্রাম্প।
তার সফরের আগেই টোকিও গিয়েছিলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। অংশ নিয়েছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন ফ্যাশন নারীর নিরাপত্তাসহ নানা ইস্যুতে।কিন্তু ইভাঙ্কাকে কেমন দেখেছেন জাপানের নারীরা?
ইভাঙ্কা ট্রাম্প বক্তব্য রেখেছিলেন ‘‘ওয়ার্ল্ড এসেম্বলি ফর উইমেন অনুষ্ঠান’’ । অনেকে মনে করেন পিতা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন উপদেষ্টা হিসেবে সফরের পুর্ব প্রস্তুতির বিষয়গুলো করতেই টোকিও গেছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
যেখানে একই সাথে আলাদা কিছু কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছেন তিনি। যেখানে জাপানের বিভিন্ন শ্রেণীর নারীরা তাকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন কাছ থেকেই,এদেরই একজন পেশায় একটি রেস্টুরেন্টের শেফ ও ম্যানেজার ইয়ুকি চিদুই।
তিনি বলছিলেন "ইভাঙ্কা ফ্যাশনের সাথে রাজনীতির একটি ব্যালেন্স করতে পারেন। যদিও আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থানে, তারপরেও তার জায়গায় আমি নিজেকে দেখতে পাই। যেমন ধরুন এখানে কাজের সময় আমি সাদা অ্যাপ্রোন পরিনা বরং মেক আপ নেই। আমি সবসময় আমার সুশী বারকে ফ্যাশনেবল ও কাজের ক্ষেত্রে আনন্দের রাখতে চাই। এক্ষেত্রে ফ্যাশন ও কাজের মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ইভাঙ্কা আমার জন্য রোল মডেল হতে পারে"।লেখক ও অভিনেত্রী মারি ইয়ামামাতোর কাছে অবশ্য ইভাঙ্কা ট্রাম্প কিছু দ্বিধাগ্রস্ত বৈশিষ্ট্যের।তিনি বলছিলেন "আমি তাকে ও তার পিতাকে ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছি। একজন নারীকে রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বা উঁচু পদে দেখা সবসময়ই চমৎকার এবং তিনি কিভাবে সেখানে পৌঁছালেন সেটা একেবারেই গৌণ বিষয়। তিনি নির্বাচিত নন, এটাও কোন বিষয় না"।
শিল্পী মিহি ব্যারন আর কিছুদিন পরেই সন্তান জন্ম দেয়ার প্রহর গুনছেন। তাই বলে বন্ধ নেই ছবি আঁকার কাজ।নিজের স্টুডিওতে কাজ করতে করতে বলছিলেন যে ইভাঙ্কা সম্পর্কে আগে তেমন একটা ধারণা তার ছিলনা।
তিনি বলছিলেন "সত্যি কথা বলতে আমি ইভাঙ্কার সম্পর্কে জেনেছি তার জাপানে আসার খবর শোনার পর। আমি শুনেছি পরিবারের নাম যশ ভালোভাবেই ব্যবহার করছেন তিনি। এরপরেও আমি তাকে শ্রদ্ধা করি কারণ তিনি নিজের একটা ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি করেছেন এবং দিন দিন সেটি বাড়ছে"।
জাপানের বিভিন্ন পেশায় থাকা এসব নারীরা মনে করেন সামনের দিন গুলোতে বিশ্ব জুড়ে নতুন প্রজন্ম সবকিছুতেই নিয়ে নতুন নতুন ধারণা। সম্ভবত ইভাঙ্কা ট্রাম্প সে ধারারই প্রতিনিধিত্ব করতে শুরু করেছেন এখনই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: