
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে 'অপহরণ করে' তুরস্কে নিয়ে যাবার এক পরিকল্পনা হয়েছিল বলে খবর বেরুনোর পর তুরস্ক তা অস্বীকার করেছে।
গত বছর জুলাই মাসে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল তার পেছনে ফেতুল্লাহ গুলেনের ভুমিকা ছিল বলে আংকারার অভিযোগ।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একাধিকবার বিচারের জন্য মি. গুলেনকে তুরস্কের হাতে তুলে দেবার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মি. গুলেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বসবাস করেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন এরকম একটি পরিকল্পনা নিয়ে তুরস্কের কিছু কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করেছিলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে।
পরিকল্পনাটি ছিল, এ বছর মার্চ মাসে মি. গুলেনকে ধরে একটি ব্যক্তিগত বিমানে তুলে দেয়া হবে এবং তাকে তুরস্কের ইমরালি দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে একটি কারাগার রয়েছে।
এর বিনিময়ে মি. ফ্লিনকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, এ কথা প্রকাশ করেছেন সিআইএ'র সাবেক পরিচালক জেমস উলসি। তিনি বলেন, তিনি নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এরকম এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াশিংটনের তুর্কী দূতাবাস এ খবরকে 'সম্পূর্ণ মিথ্যা, হাস্যকর ও ভিত্তিহীন' বলে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, তুরস্ক ফেতুল্লাহ গুলেনকে বিচারের জন্য ফেরত চায় কিন্তু আইনবিরুদ্ধ কোন পথে নয়।
মি. ফ্লিনের আইনজীবীও এরকম দাবির কথা জোর দিয়ে অস্বীকার করেছেন। মি. ফ্লিন পরে রাশিয়া-সংশ্লিষ্টতার এক অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগ করেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বা্চনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।
এনবিসি বলছে, মি. ফ্লিন যখন হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন, তখন তিনি ফেতুল্লাহ গুলেনকে তুরস্কে ফিরিয়ে দেবার জন্য চেষ্টা করেছিলেন কিনা তারও তদন্ত করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: