ঢাকা | সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

হযরত ওয়াসিফুল ও মাওলানা জুবায়ের উভয় একমত কাকরাইল মসজিদ এ কোন কোন্দল নেই -তাবলীগ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আল্লামা মাহমুদুল হাসান।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:২১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:২১

 

একথা জানান, বৃহ: সকালে মাওলানা জুবায়ের ও হযরত ওয়াসিফুল এর মধ্যে আন্তরিকভাবে কথাবর্তা হয়েছে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রস্থল কাকরাইল মসজিদ।আর সারা দুনিয়ার
“তাবলিগের মারকাজ (মূল কেন্দ্র) দিল্লির নিজামুদ্দিনে ওখানে সারা মুসলিম জাহানের ১৩ জন শূরা সদস্যের মাধ্যমে তাবলিগ পরিচালিত হয়। নিজামুদ্দিনের শুরা সাথী এনামুল হাসন সাহবের ইন্তেকাল এর পর নিজামুদ্দিন তাবলীগের মুল মার্কাজের ১০ জন আহলে শুরার সাথী মাসোয়ারা করে, হযরত মাওলানা শা‘দ সাহেব দাঃবাঃ, হযরত মাওলানা জুবায়ের হাসান সাহেব রহঃ, হযরত মাওলানা এজাজ সাহেব রহঃ কে আমিরে ফয়সাল নিযুক্ত করেন যা সারা মুসলিম বিশ্ব মেনে নেয়। মাওলাননা জুবায়ের হাসান ও মওলানা এজাজ রহঃ ইন্তেকাল এর পর হযরত মাওলা সা'দ সাহেব যিনি এখন জিবিত। তিনি হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহঃ যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ্‌ তাবলীগ এর বুনিয়াদ করান তার মাওলানা ইউসুফ রহঃ।  হযরত মাওঃ ইলিয়াস রহঃ এর ছেলা মাওলানা ইউসুফ রহঃ। মাওলানা ইউসুফ রহঃ ছেলে হযরত   শা'দ সাহেব দাঃবাঃ । এখন তাবলীগ এর সারা পৃথিবী র মার্কাজ নিজামুদ্দিনে ৩ জন আমিরে ফয়সাল এর মধ্য হযরত  শা'দ দাঃবাঃ একমাএ জীবিত এ কারনে তাবলীগ এর সকল সুরা র সাথী এবং মরুব্বি হযরত  শা'দ দাঃবাঃ  এক বাক্য মেনে নেয় কিন্তু বাদ সাধে পাকিস্তানি এক মুরুব্বী ও তার কিছু অনুসারী তারা হযরত শা'দ দাঃবাঃ বিরোধীতা করে, গত বার টংগি এস্তেমা ময়দানে যাতে হযরত শা'দ দাঃবাঃ আসতে না পারে এ নিয়ে কিছু মুরুব্বী এবং সাথী বিরোধীতা করে পরে বর্তমান সরকার ও অধিকাংশ মুরুব্বী ও সাধারন সাথিদের কারনে হযরত শা' দ দাঃবাঃ টংগী আসেন, এবার কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে কিছু মুরুব্বী পাকিস্তান সফর যায় এবং পাকিসথান থেকে আাসার পর বিষয়টি আরও জটিল রুপ ধারন করে, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ সাহেব ও কয়েকজন কাকরাইল মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্র দের কে ব্যবহার করে তাদের
দিয়ে কাকরাইল এর মুরুব্বী দের রুম ভাংচুর করায় এবং কাকরাইল এর মুরুব্বী ইউনুছ শিকদার কে বের করে দেয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকার যাত্রাবাড়ি জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসায় পাঁচ সদস্যের এই উপদেষ্টা কমিটি গঠনের পর তাবলিগের ‘মুরব্বিরা’ জানিয়েছেন, এখন থেকে কাকরাইলে মজলিশে শূরা সদস্যদের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বিমত হলে তার সমাধান মিলবে এই উপদেষ্টা কমিটির কাছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন-মালিবাগ শারাইয়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী, যাত্রাবাড়ী জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মাহমুদুল হাসান, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল্লামা আব্দুল কুদ্দুছ, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ও মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক।

যাত্রাবাড়ির ওই সভায় তাবলিগ জামাতের ‘মারকাজ’ কাকরাইলের ১১ শূরা সদস্যের মধ্যে ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে একজন উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানানো হয়।

উপস্থিত শূরা সদস্যরা হলেন- মাওলানা জুবায়ের আহমদ, রবিউল হক, মোহাম্মদ হোছাইন,ফারুক, খান শাহাবউদ্দীন নাসিম, ওমর ফারুক, মোশাররফ হোসেন, ওয়াসিফুল ইসলাম,মুহাম্মদ ইউনুছ শিকদার ও শেখ নূর মুহাম্মদ।

উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আল্লামা মাহমুদুল হাসান জানান উপদেষ্টা কমিটি গঠনে কাকরাইল মারকাজের আহলে শূরা সদস্যরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।”

উপদেষ্টা কমিটি গঠনকে ‘প্রশংসনীয়’ বলছেন বাংলাদেশ “বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওলামা কেরাম।
এ দ্বন্দ্বে মাওলানা জুবায়ের ও হযরত ওয়াসিফুলের কথাবার্তাও বন্ধ ছিলো বলে জানান তাবলিগের সাথীরা।
তাবলীগ জামাতের সাথীরা মাওলানা জুবায়ের সাহেব ও মাওলানা ওয়াসিফুল সমপর্কে বলে তারা দুজন ই আল্লাহতালার ওলী তাদের কারোপ্রতি আমাদের কোন অভিযোগ নাই কতিপয় অতিউস্যাহী তাবলীগ এর সাথী জজবা কন্ট্রোল করতে না পারার কারনে মংগলবার অপিতিকর ঘটনা ঘটে যা তাবলীগ জামতের সম্পূর্ণ বিপরিত। তাবলীগ জামাত করে এমন এক জন মুফতি এবং ঢাকার এক মসজেদ র খতিব বলেন ৫ টি বিষয় মাথায় রাখা পতিটি মুসলিম ভাই মেনে চললে তার জন্য ইহকাল ও পরকাল সহজ হবে ১। জজবা কন্ট্রোল ২।দেমাগ ঠানডা ৩। জবান মিঠা ৪। দিল নরম ৫।কাজ হবে গরম

তাবলীগ জামাতের সাথীরা বলেন, “ওই দূরত্ব ও ভুল বোঝাবুঝি হ্রাস করার জন্যই এই (উপদেষ্টা) কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, “আজ সকালে দুজনের (জুবায়ের ও ওয়াসিফুল) মধ্যে আন্তরিকভাবে কথাবর্তা হয়েছে। এখন থেকে আর কোনো সমস্যা হবেবৃহস্পতিবার ঢাকার যাত্রাবাড়ি জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসায় পাঁচ সদস্যের এই উপদেষ্টা কমিটি গঠনের পর তাবলিগের ‘মুরব্বিরা’ জানিয়েছেন, এখন থেকে কাকরাইলে মজলিশে শূরা সদস্যদের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বিমত হলে তার সমাধান মিলবে এই উপদেষ্টা কমিট।
উপদেষ্টা কমিটি গঠনকে ‘প্রশংসনীয়’ বলছেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: