ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রস্থল নিজামউদ্দিন এর ৬ মুরুব্বি ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অবরুদ্ধ

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৪১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৪১


প্রতিবারের ন্যায় সাথীদেও এসলাসের জন্য বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের মার্কাজ কাকরাঈল মসজিদ টংগী বিশ্ব এজতেমার মাঠে ৫ দিনের জোর করে থাকে । এবার ও গতকাল ১৭ই নভেম্বর হতে ২২ই নভেম্বর ৫দিন ব্যাপি টংগীর বিশ্ব এজতেমার মাঠে জোর শুরু হয় ।
প্রতিবারের ন্যায় এবার ও দিল্লির নিজামউদ্দিন মসজিদ (তাবলীগ জামাতের মুল কেন্দ্র)হতে কিছু মুরুব্বি আসে । দিল্লির নিজাম উদ্দিন মার্কাজের মাসোয়ারার ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুরুব্বি দের এই জোরে বয়ান করে থাকে । পাকিস্থান , বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু মুরুব্বিকে এজন্য সিলেক্ট করা হয় । কিন্তু পাকিস্থানের মুরুব্বিরা ভিসা জটিলতায়র কারনে এবারের জোরে আসতে পারে নাই । কাকরাইল নিজামউদ্দিন মার্কাজের মসজিদ হতে নির্বাচিত ৬ মুরুব্বি যথারীতি ঢাকার কাকরাইল মসজিদে আসেন । এবং টংগী এজতেমার ময়দানে তিন চিল্লার সাথীরাও সমবেত হয় ।
কিন্তু কাকরাইল মসজিদে অবরুদ্দ করে রাখা হয়েছে বলে টংগী এজতেমার ময়দানে কানা ঘুষা শুরু হয় এবং শোনা যায় ময়দানে নাকি দিল্লির কোন মুরুব্বি এবার বয়ান করতে পারবেনা এ বলে ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ এবং ইঞ্জিনিয়ার আনিস ও মাওলানা ফারুক (যাদের নের্তৃত্যে মঙ্গলবার কাকরাইল মসজিদের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে ) সাধারণ নিরীহ তাবলীগ জামাতের সাথীদেও হুমকি ধামকি দেয় এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু সাথী বলে তাদের সাথে থাকা কয়েক জন নাকি অস্র বাহির করে মুসল্লিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এ দিকে গতকাল রাতে কাকরাইল মসজিদেও মুরুব্বিদেও সাথে শত চেষ্টা করে ও তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি । এর ফলশ্রুতিতে টংগী এজতেমার মাঠ হতে মুসল্লিরা চলে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায় ।
ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ সাহেব কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি আম মানুষ । এই ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবনা । আমার জিম্মাদার আছে (গিয়াসউদ্দিন সাহেব)ওনার সাথে কথা বলেন উনি এই ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে।এই বলে উনি গিয়াসউদ্দিন সাহেবের নাম্বার না দিয়ে ওনার নাম্বার ই দেন পরে ওনাকে আবার ফোন করলে উনি বলেন গিয়াস উদ্দিন সাহেব অসুস্থ আপনি ভাই মোঃ ইঞ্জিনিয়ার মেজবা সাহেব এর সাথে কথা বলেন ।
পরবর্তীতে মেজবা সাহেব কে ফোন করলে তিনি বলেন যে কেন মুরুব্বি অবরুদ্ধ । তিনি বলেন তাদের ব্যাপারে আমরা জানিনা সরকার ও প্রশাসন তাদের কে বাধা দিয়েছে এবং ওনারা তাবিলীগ এর ভিসা নিয়ে আসে নাই, প্রতিবেদক উনাকে জিজ্ঞাসা করে তাবলীগ এর ভিসা কি জিনিস তার জবাবে উনি বলেন ওনারা অস্ট্রেলিয়া হয়ে বাংলাদেশে আসে এই কারনে তারা ময়দানে আসতে পারে নাই এবং সরকার তাদের বাধা দিয়েছে সামনে এজতেমা সব ঠিক হয়ে যাবে। মাওলানা সা‘দ সাহেব কে নিয়ে আমাদের কোন বাধা নাই । তিনি সরকার এবং প্রশাসন কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে বলেন।
প্রফেসর ইউনুস সিকদার কে ফোন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং বলেন এ ব্যাপারে কথা বলতে চাই না এবং ক্ষমাই মহত্ত্বের লক্ষণ এই ব্যাপারে ক্ষমা করে দিয়েছি ।নাসিম সাহেবকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন কাগজে সাইনগুলো দেখলে বুজতে পারবেন আমি আমি হার্টের রোগী আমি অসুস্থ আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে ।কাকরাইল মসজিদ এ উপদেষ্টা মাওঃ মাহমুদুল হাসান সাহেব কে ফোন করলে তার ফোন রিসিভ করেন তাহার মাদ্রাসার একজন শিক্ষক , তিনি বলেন হুজুর অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন । । দিল্লির নিজাম উদ্দিন মার্কাজের ৬ মুরুব্বি সম্পর্কে জানতে চাইলে টংগী ময়দানে যায়নি কেন । উনি বলেন এ ব্যাপারে বলতে পারবনা ।দেড় কোটি মানুষের জামেলা এতা সহজে শেষ করা যাবেনা জোরের পরে এটা নিয়ে বসা হবে ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: