
১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এক সময় এই দেশে নিষিদ্ধ করেছিল জিয়া পরিবার। বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা এই ভাষণ প্রচার করতে পারিনি, মাইক ভেঙ্গে ফেলত, কেড়ে নিত,লোকদের মারধর করত, পুলিশ হয়রানি দিয়ে করত। রোববার সচিবালয়ে ঢাকায় ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত "যাও তাবাযারা দি ওলিভেরা " জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ওয়ালর্ড ডকুমেন্টারি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐহিত্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে নাগরিক সমাবেশ ডাকা হয়, তাতে মানুষকে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন বনিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক কমিটি আয়োজিত সমাবেশ হয়েছে। ৭ ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়ায় দেশের নাগরিক সমাজ এ সভার আয়োজন করে। কিন্তু এ সভাকেও মির্জা ফখরুলরা ছোট করার অপততপরতা করেছে। বিএনপি মহাসচিব অবশ্য বলেছিলেন ৭ই মার্চের স্বীকৃতি আনন্দের কারন এতটুকুই তিনি বলেছেন। না বলা তার সম্ভব ছিলনা কারন এটা বাঙালীর অর্জন। কিন্তু এতটুকু বলতেও তার খুব কষ্ট হয়েছে। কারণ, এই ফখরুলরাই তো তারা, যারা ৭ই মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল . প্রথমে এ ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তানিরা। এরপরে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করেছিল জিয়া-খালেদারা। তোফায়েল আহমেদ বলেন, গতকাল মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তার মুখে মানায় না। এমন কোনো বিষয় নেই যার মধ্যে তারা নেতিবাচক কিছু খুঁজে বেড়ায় না। সরকারের ভাল কোনো উদ্যোগই তাদের ভাল লাগে না। এভাবে ছোটো মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। রাজনীতি করতে হলে বড় মন লাগে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের যে ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। কারণ, এই ভাষণটি ২০ লক্ষাধিক মানুষের সামনে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষণ এত লোকের সামনে দেয়া হয়নি। আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিংসহ অনান্যদের বক্তব্য ছিল লিখিত এবং এগুলো সভা-সেমিনারে দেয়া বক্তব্য। এদিক বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অদ্বিতীয়ও অসাধারণ ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: