ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

ভ্যাট রিটার্ন শুরু অনলাইনে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:১০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:১০

চলতি নভেম্বর মাস থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন ভ্যাট চালুর কথা ছিল। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবে  চালু করা সম্ভব হয়নি।

আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে (মূসক) বা ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে পারবে। পরীক্ষামূলকভাবে ছয় মাসের জন্য এ অনলাইন কার্যক্রম চালু হবে। প্রথমে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কোম্পানিগুলো ভ্যাট রিটার্ন দেবে। পরে সেই পরিসর বাড়ানো হবে।

নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় নয়; পুরোনো বা বিদ্যমান ভ্যাট আইনের আওতায় এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। তাই ভ্যাটের একাধিক হারও অনলাইন ব্যবস্থায় কার্যকর করা হবে। এ জন্য ভ্যাট অনলাইনের সফটওয়্যারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) নেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে পুরোনো ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর বা বিআইএন আর চলবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকেই সব প্রতিষ্ঠান অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবে না। পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের আওতায় প্রথমে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) ১৩৯টি কোম্পানি অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দিতে পারবে। এখন পর্যন্ত এই কোম্পানিগুলো ইবিআইএন নিয়েছে। এলটিইউভুক্ত বড় প্রতিষ্ঠানে স্বয়ংক্রিয় হিসাব পদ্ধতিসহ অন্য দলিলাদি সংরক্ষণ ব্যবস্থা বেশ আধুনিক। তাই ভ্যাটের এই নতুন পদ্ধতি প্রথমে এলটিইউভুক্ত প্রতিষ্ঠানেই চালু করা হচ্ছে। তিন মাস পর ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে রিটার্ন দিতে পারবে। মূল অনলাইন ব্যবস্থার সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠানকেই ভ্যাট অনলাইনের আওতায় আনা হবে।

ভ্যাট অনলাইন ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হলে প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের রিটার্ন দিতে ভ্যাট কার্যালয়ে যেতে হবে না। ঘরে বসেই ভ্যাট অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে রিটার্ন দেওয়া যাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে’ যেহেতু এখনো চালু হয়নি; তাই আপাতত ঘরে বসে ভ্যাটের টাকা জমা দেওয়া যাবে না। সনাতনী ব্যবস্থায় সরকারি কোষাগারে পে-অর্ডার দিয়ে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। ভ্যাট পরিশোধের প্রমাণ হিসেবে শুধু পে-অর্ডার নম্বরটি অনলাইনে রিটার্ন জমার সময় ফরমে লিখতে হবে। অনলাইন ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি মূল ভ্যাট অনলাইন সার্ভারের সঙ্গে প্রতিটি কোম্পানির হিসাব সফটওয়্যারে সংযুক্ত করা হবে। মূল সার্ভারের সঙ্গে সমন্বয় করতে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সফটওয়্যারের কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হতে পারে।অনলাইন ব্যবস্থা চালুর জন্য রিটার্ন ফরমে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এসব ফরমের খসড়া নিয়ে ২৯ নভেম্বর শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের সদস্য রেজাউল হাসান বলেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে ব্যবসায়ীরা সহজেই রিটার্ন দিতে পারবেন। হয়রানিও অনেক কমে যাবে। সার্বিকভাবে অনলাইন ব্যবস্থা চালু হলে ব্যবসায়বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত হবে।

অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন ও কর পরিশোধ করতে হলে ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) লাগবে। ইবিআইএন নেওয়ার জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পয়লা জানুয়ারি জানুয়ারি থেকে পুরোনো নিবন্ধন চলবে না

থেকে পুরোনো নিবন্ধন দিয়ে রিটার্ন দেওয়া যাবে না।গতকাল রোববার পর্যন্ত ৬৭ হাজার ২১০টি প্রতিষ্ঠান ইবিআইএন নিয়েছে। আর এলটিইউর ১৩৯টি কোম্পানি ইবিআইএন নিয়েছে।নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভ্যাট অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার কথা ছিল। কিন্তু নতুন আইনটির বাস্তবায়ন দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। নতুন আইনটি বাস্তবায়নের জন্য এনবিআর ২০১৩ সালে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয় ৫৫১ কোটি টাকা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: