
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে মুসলিম বিদ্বেষী ভিডিও শেয়ার করা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিন্দা জানানোর পর আক্রমণাত্মক মন্তব্যের কবলে পড়েছেন। এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, "আমার দিকে নজর না দিয়ে যুক্তরাজ্যে বিরাজমান ধ্বংসাত্মক কট্টর ইসলামি সন্ত্রাসবাদের দিকে নজর দিন।" তিনটি মুসলিম বিদ্বেষী ভিডিওকে কেন্দ্র করে এ দুই সরকার প্রধানের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশ উগ্র-ডানপন্থী গোষ্ঠী 'ব্রিটেন ফার্স্টের' পোস্ট করা তিনটি মুসলিমবিদ্বেষী ভিডিও রিটুইট করেন ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বুধবার (২৯ নভেম্বর) ট্রাম্পের ওই কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। তার এ পদক্ষেপকে 'ভুল' হিসেবে অভিহিত করেন। তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। ব্রিটেন ফার্স্ট নামে দলটির উপনেতা জেইডা ফ্রানসেনের প্রথম টুইট বার্তায় এক ভিডিওতে দাবি করা হয় একজন মুসলিম অভিবাসী ক্রাচ নিয়ে চলা এক প্রতিবন্ধীর ওপর হামলা করেছে। এরপর তিনি আরও দুই ব্যক্তির একই ধরনের দুটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন তারাও মুসলমান। এর একটিতে দেখানো হয় মুসলিমরা একটি খ্রিস্টান মূর্তি ভাঙছে আর অন্যটিতে তারা এক বালককে হত্যা করছে। এই তিনটি ভিডিও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটারে শেয়ার করেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিদেশি নেতাদের মধ্যে মে-ই প্রথম হোয়াইট হাউস সফর করেছিলেন। তবে আগামী বছর ট্রাম্পের সম্ভাব্য ব্রিটেন সফরের ওপর এ ঘটনার প্রভাব পড়বে না বলে থেরেসা মে’র কার্যালয় থেকে দাবি করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: