ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার লিড নিউজ

বেগমপাড়ায় ছুটছেন সাহেবরা’

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১৪

বেগম পাড়ায় ছুটছে সাহেবরা এটি কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এ খবরে বলা হয়েছে, ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অবৈধ উপায়ে দেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুটে নিয়ে একদল বিলাসী জীবন যাপন করছে কানাডার বেগমপাড়ায়, কেউ বা দুবাই, মালয়েশিয়ায়-সিঙ্গাপুরে।

দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী আমলা, ক্ষমতার শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে এখন লাপাত্তা।

একসময় ওইসব ‘সাহেব’ দেশে টাকা লুট করতেন, আর তা নিজেদের বউ-বাচ্চাদের ‘বেগমপাড়া’ কিংবা ‘সেকেন্ড হোমে’ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পাঠাতেন।

এখন ওই ‘সাহেব’দেরও অনেকে ‘বেগম’দের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর রীতিমতো কানাডার ‘বেগমপাড়া’ কিংবা সেকেন্ড হোমে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া রাজনীতিবিদ, আমলা আর ব্যবসায়ীর ভিড় বেড়েছে বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, মামলা, জেল-জরিমানা আর শাস্তির ভয়ে তাঁরা বিভিন্ন উপায়ে ওই সব উন্নত দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।

তবে সরকার এঁদের পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা এরই মধ্যে অন্তত পাচারের এক লাখ কোটি টাকা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

কালের কণ্ঠ

‘ঢাকাকে কৌশলগত বার্তা দিতে চেয়েছেন রাজনাথ সিং’ সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নতুন সরকার নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না ভারত।

শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে দিল্লি ঢাকার কাছ থেকে যে ধরনের সুবিধা পেত, তাকে সমতার জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দিয়েছে।

ফলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে কী ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং তা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে ভারতের সেনা নেতৃত্বকে নির্দেশনা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

তার এ ধরনের বক্তব্যকে কৌশলগত বার্তা হিসেবে দেখছেন ঢাকার নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সংবাদপত্র

‘মুক্ত খালেদা জিয়ার দিন কাটছে যেভাবে’ শিরোনামে মানবজমিন প্রথম পাতায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, এক মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২১শে আগস্ট গুলশানের বাসায় ফেরেন দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

মুক্তি পেলেও অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। যদিও ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো সুস্থ নন। আগে তিনি বন্দি ছিলেন, এখন মুক্ত।

দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসায় খালেদা জিয়া মানসিকভাবে স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। শরীর কিছুটা ভালো থাকলে বই, পত্রিকা এবং টেলিভিশন দেখে সময় কাটান খালেদা জিয়া।

গত চৌঠা সেপ্টেম্বর রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের বাসভবনে দেখা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক।

বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিকভাবে এখনো সুস্থ নন খালেদা জিয়া।

মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যেতে চায়। বেশ লম্বা সময় ফ্লাই করার মতো শারীরিক অবস্থা হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

 

‘পাচার হওয়া অর্থ কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব? ব্যাংকাররা বলছেন সম্ভব' ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রথম পাতার শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। শনিবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে আয়োজিত ‘ সেইভ দ্য ব্যাংকার্স’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেছেন।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসাইন বলেছেন, বিএনপি বা তার আগে আওয়ামী লীগ আমলে কোনো দুর্নীতি হয়নি এমনটা বললে ভুল হবে। তবে দুর্নীতির স্কেল অনেক ছোট ছিল।

তার আগে, তৎকালীন সরকার নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া শুরু করে এবং এই লাইসেন্সগুলি অর্থ পাচারের সাইন বোর্ড ছাড়া আর কিছুই নয় বলে ওই খবরে বলা হয়েছে।

এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান এবং এমটিবি ও আইডিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, কিছু এজেন্সি এবং বিশেষজ্ঞ আছে যারা পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু সেগুলো খুবই ব্যয়বহুল।

তিনি বলেন, “এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে পুলিশকে জড়িত করতে হবে, এটিকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইনজীবীদের নিয়োগ করতে হবে”।

একটি উদাহরণ দিয়ে এই ব্যাংকার বলেন, ২০১৮ সালে এমটিবিতে তারা রিভার্স মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সফলভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনি অনুমোদন নিয়ে লন্ডনে অর্থ ফেরত দিয়েছেন।

ব্যাংকাররা বলেন, বিভিন্ন দেশে পাচার করা বা চুরি করা অর্থ উদ্ধারের উদাহরণ রয়েছে।

নিউ এইজ

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শনিবার বলেছেন, তিনি আবার ভারত সীমান্তে ফেলানীর মতো বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা দেখতে চান না।

ঢাকায় বিজিবি পিলখানা সদর দপ্তরে বিজিবির সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ফেলানির মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না। সীমান্তে আপনার পিঠ দেখাবেন না। নিখুঁতভাবে আপনারা দায়িত্ব পালন করুন ”।

একইসাথে বিজিবি সদস্যদের পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতেও আহ্বান করেন তিনি।

তিনি বলেন, “দুর্নীতি কোনো অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না। . . বিজিবি সদস্যদের অবশ্যই আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে”।

প্রথম আলো

‘স্থবির অর্থনীতি সচলের চেষ্টা’প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তিতে এই সংবাদটি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, টানা ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থেকেও অর্থনীতির রক্তক্ষরণ বন্ধে আওয়ামী লীগ সরকার যেসব উদ্যোগ নিতে পারেনি, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার ৩০ দিনের মধ্যেই সেসব উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।

অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে সংস্কার ও পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বিশেষ করে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে ব্যাংক দখল করে নামে–বেনামে ঋণ নেওয়ার দিন শেষ হয়েছে বলে বার্তা দেয়া হয়েছে।

গত এক মাসে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নেতৃত্ব এসেছে। অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে শ্বেতপত্র প্রণয়নে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতি আর আর্থিক খাতের পুনর্গঠনে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এ বিষয়ে পরিষ্কার একটি বার্তাও এসেছে অর্থনীতিবিষয়ক নেতৃত্বের কাছ থেকে।

তবে নীতি সুদহার কিছুটা বাড়ানো ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এখনো বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় শিল্প খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

জাতীয় সঙ্গীতের বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম ‘বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তী সরকার’

খবরে বলা হয়েছে, বিতর্ক সৃষ্টি হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন কিছু করবে না বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

তিনি বলেন, "জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা একটি বিতর্কিত ইস্যু। এটি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছুতে আমার হাত দেব না।"

শনিবার দুপুরে রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাক্ষে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময়সভায় যোগ দেয়ার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা এই মুহূর্তে এমন কোনো কাজ করতে চাই না যা নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই।

অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় শিল্প খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

বণিক বার্তা

রাজধানীতে মধ্যরাতে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা ’ শিরোনামে প্রথম পাতায় খবর প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকা। রাজধানীতে মধ্যরাতে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গুলশান-২ এলাকার ফাইন্যান্স স্কয়ার নামে একটি বহুতল ভবনে এক্সিম ব্যাংকের একটি শাখায় ডাকাতির চেষ্টার সময় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গুলশানের ১০৩ নম্বর সড়কের ফাইন্যান্স স্কয়ার ভবনে ডাকাত প্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয়রা ভবনটি ঘেরাও করে ফেলে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে।

তবে, ব্যাংক থেকে কোনো টাকা পয়সা লুট করতে পারেনি ডাকাতরা।

ভবনটির নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, রাত দেড়টার দিকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি দুটি গাড়ি এবং বেশ কয়েকটি বাইক নিয়ে ভবনটির সামনে আসেন। এরপর দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের হাত-মুখ বেঁধে ডাকাতির চেষ্টা চালান। স্থানীয়রা টের পেয়ে ভবনটি ঘেরাও করে।

খবর পেয়ে সেখানে যান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। ডাকাত সন্দেহের এই দলটি মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের কয়েকজন পালিয়ে যায়, তবে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতিবেদনটিতে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে হওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করেন, তাদের একটা অংশ ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। আর এসব কর্মকর্তার বেশির ভাগই প্রশাসন ক্যাডার থেকে আসা।

বিগত সরকারের সময় মাঠ প্রশাসন দলীয়করণের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতে তারা প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এসব কর্মকর্তার একটি বড় অংশই আবার চাকরি জীবন শেষে সরাসরি যুক্ত হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদে বসার সুযোগও পেয়ে যান অনেকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা দীর্ঘায়িত করতে যেসব আমলা ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের স্বীকৃতি হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এর মধ্য দিয়ে মূলত প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে দলটি।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম ‘বিপুল অস্ত্র এখনো বাইরে, বাড়ছে নিরাপত্তা সংকট’।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থানা থেকে লুট হওয়া প্রায় দুই হাজার আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন লাখ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি।

উদ্ধার করা যায়নি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, এসএমজি টি-৫৬, ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস ও বিপুল গোলাবারুদ।

লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাইরে থাকায় কি নিরাপত্তাসংকট বাড়ছে কিনা এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব) আ ন ম মুনীরুজ্জামান বলেন, “বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখন যে উদ্ধার হয়নি, সেটা তো উদ্বেগের”।

“এছাড়া গণভবন ও সংসদ ভবন থেকে এসএসএফের যে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছে, সেগুলো তো কোনোভাবেই সাধারণ নাগরিকের কাছে, এমনকি পুলিশের কাছে থাকাও উচিত নয়। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাইরে থাকলে যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে যায়” বলেন তিনি।

বিবিসি 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: