
আমাদের অধিকারপত্র ডটকমঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করতে রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।‘৭’ এর সব উপধারা বাদ দিয়ে প্রতিনিধিদলটি একটি সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে পেস করে।
বিএনপির উক্ত ধারার `কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা` শিরোনামে যে সকল ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্য পদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তাদের একটি তালিকা। উল্লেখিত তালিকানুযায়ী (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮ এর বলে দি ত ব্যক্তি, (খ) দেউলিয়া, (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি, (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তিগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১৯ মার্চ ২০১৬ সালে বিএনপির অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল শেষে গঠিত সংশোধিত গঠনতন্ত্র প্রকাশ করেনি । আথচ বেগম জিয়ার মামলার রায়কে সামনে রেখে দ্রুত গঠনতন্ত্র করে ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে বেগম জিয়া দণ্ডিত হলেও যেন চেয়ারপার্সনের পদ নিয়ে থাকতে পারেন, সে কারনেই গঠতন্ত্রের ‘৭’ ধারা বাদ দেয়া হয়েছে স্বীকার করেছন দলটির দ্বায়িত্বশীল একাধিক সূত্র ।
বিশেষজ্ঞদের বলছেন, মতানুসারে কেবলমাত্র একজন বা একটি পরিবারের জন্য কোনো দলের গঠনতন্ত্রে দুর্নীতি জায়েজ করা এক নজিরবিহীন ঘটনা। বিএনপির নেতৃবৃন্দরা এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজেদের নীতিহীনতার পরিচয়কেই বড় করে তুলে ধরেছেন।
এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত বিএনপি দ্বার উন্মুক্ত করেছেন ‘প্রমাণিত’ ও কুখ্যাত সব দুর্নীতিবাজদের জন্যই বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: