
সংসদ প্রতিনিধিঃ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকালীন বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, অসাংবিধানিক দাবি করছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিজস্ব পরিসরকে ছোট করে শুধু রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংবিধান হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।আর তাই আমাদের সংবিধানকে মানতে হবে। সংবিধানে সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার গঠন করার বিধান নেই।’
বিএনপিকে লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কখনই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না বিএনপি।সংবিধান পরিপন্থী সহায়ক সরকারের দাবি এটাই প্রমান করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সংবিধানকে সন্মান করি, আর এ জন্যই সংবিধান পরিপন্থী কোনো সরকারব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে। তাই অবৈধ দাবি করাটা তাদের অভ্যাস। জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটারবিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল বিএনপি এবং সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে এবং সরকার গঠন করেন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তী সময়ে তাঁর এই কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করার পর মাগুরা ও ঢাকার উপনির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে বিএনপি। গণ-আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে তাদের পতন ঘটে। ওই সময়ে বিএনপি নির্বাচনী-ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: