রাজবাড়ী জেলার চিকিৎসা সেবার প্রধান প্রতিষ্ঠান ২৫০-শয্যার রাজবাড়ী আধুনিক হাসপাতালের উপর ১০ লক্ষাধিক মানুষ নির্ভরশীল। প্রতিদিন হাজারও রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলেও হাসপাতালটি নিজেই নানা সমস্যায় জর্জরিত।
উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার এ প্রধান হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সহায়ক জনবল, যন্ত্রপাতি, ওষুধ, শয্যা প্রভৃতির সংকট রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যায় এ হাসপাতালে স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে মেডিসিন, সার্জারি ও কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। ১০জন সিনিয়র কনসালট্যান্টের পদ শুন্য। ১১ জন জুনিয়র কনসালট্যান্টের মধ্যে রয়েছেন তিনজন এবং ১৫টি মেডিকেল অফিসারের পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১১ জন। এ ছাড়া নার্সসহ বিভিন্ন পদে রয়েছে জনবল সংকট। স্বল্প জনবল নিয়ে রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালে প্রতিদিন দেড়শ’ থেকে দুইশ’ রোগী ভর্তি থাকেন। বহিঃর্বিভাগে গড়ে সাড়ে পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ রোগীর চিকিৎসা নিতে আসেন। এরপর প্রশাসনিক কাজ, ময়না তদন্ত, ফরেনসিক টেস্ট-সহ বিভিন্ন কার্যক্রম সীমিত জনবল নিয়ে সম্পন্ন করতে হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে যে সংখ্যক সিট থাকার প্রয়োজন তা নেই। রোগীর অনুপাতে নার্সের সংখ্যাও কম। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হয়।
এ হাসপাতালে শিশুদের জন্য নির্ধারিত ২৫ টি শয্যা থাকলেও এখানে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি থাকে। ভর্তি হওয়া শিশু রোগীদের অনেককেই বাধ্য হয়ে হাসপাতালের অপরিচ্ছন্ন মেঝে, বারান্দা, সিঁড়ি ঘরের পাশে অবস্থান করতে হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম জানান, একশ’ শয্যার জনবল দিয়ে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। নানা সংকটের মধ্যেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি।
২৫০-শয্যা বিশিষ্ট রাজবাড়ী আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ আবদুল হান্নান মোল্লা জানান, একশ’ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও হাসপাতালের অবকাঠামো ও জনবল বাড়েনি। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে
মোশারফ হোসেন
বাসস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: