খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অস্থায়ী তাবুতে বোমাবর্ষণ নিহত ৩৯

দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় খান ইউনিসের কাছে আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনির বেশ কয়েকটি বড় তাঁবুতে বোমা বর্ষনে  আগুন  পুরে কমপক্ষে ৩৯ জন ফিলিস্তিনের মৃত্যু । [

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে উপড়যপুরি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, একটি ঘনবসতি  শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারকে আশ্রয় দেওয়ার ইসরায়েলের বিমান উপড়যপুরি বোমাবর্ষণে  তাঁবুতে আগুন পুরে   কমপক্ষে ২১ জন সহ বহু লোক আহত হয়েছে বলে  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরাইলকে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি অনেক দেরিতে হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২১ জনের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজার চিকিৎসকরা। ইসরায়েল দাবি করেছে যে হামলাটি হামাসের সিনিয়র সদস্যদের লক্ষ্য করে, 

পরে বৃহস্পতিবার, ছিটমহলের উত্তরে বেত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া বলেন, ড্রোন হামলায় হুইলচেয়ার ব্যবহার করা ১৬ বছর বয়সী এক ছেলে নিহত হয়েছে এবং চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। চিকিৎসা কেন্দ্রে।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে সমুদ্র সৈকতের কাছে আল-মাওয়াসিতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে বাসিন্দারা কার্পেটে মোড়ানো একটি মৃতদেহ বহন করে, যেখানে কয়েক হাজার মানুষ কয়েক মাস ধরে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েল এই এলাকাটিকে তথাকথিত "নিরাপদ অঞ্চল" বলে ডাকে, কিন্তু বারবার ওই এলাকায় বাস্তুচ্যুত তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে।

শোকপ্রার্থীরা বলেন, সর্বশেষ হামলা প্রমাণ করে যে একটি নতুন ঘোষণা

যুদ্ধের প্রথম ১০ দিন থেকে  গণহত্যা চালানো,” হয় বলে তিনি জানায়

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলা গাজা শহরে আঘাত করেছে, যেখানে চিকিত্সকরা বলেছেন যে একটি আক্রমণ, যা একটি বাড়ি ধ্বংস করেছে যেখানে একটি বর্ধিত পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল এবং কাছাকাছি দুটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে।

মিশরের সীমান্তের কাছে রাফাতে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পূর্ব গাজা শহরের শুজাইয়াতে পৃথক বিমান হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছে, তারা  করেছে।

ইসরায়েল গত বছরের অক্টোবরে গাজায় তাদের আক্রমণ শুরু করে, প্রায় পুরো ২.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যাকে তাদের বাড়িঘর থেকে চলে যেত বাধ্য  বাধ্য করে।  ৪৪,৫০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও হাজার হাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর একজন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন যে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গ্রুরুত্ত দিয়েছে  এবং ইসরায়েলের সাথে আবার আলোচনা শুরু করেছে এবং তিনি আশাবাদী যে একটি চুক্তি নাগালের মধ্যে ছিল।

অগ্রগতির অভাবের কারণে হতাশার কারণে কাতার মিসর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা স্থগিত করলে গত মাসে যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থগিত করা হয়েছিল।

তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুদ্ধের অবসান, গাজা থেকে বন্দীদের মুক্তি এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করার প্রচেষ্টার "পুনরায় সক্রিয়তা" হয়েছে, নাইমের মতে।

আলজেরিয়া