ঢাকা | Monday, 20th October 2025, ২০th October ২০২৫

বিপিএলের নতুন ধারণার প্রশংসা করেছেন ভক্তরা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৫ January ২০২৫ ২৩:৫৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৫ January ২০২৫ ২৩:৫৪

তারুণ্যের উৎসবকে সামনে রেখে নতুন চেহারার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রশংসা করেছেন চট্টগ্রামের ক্রিকেট ভক্ত-অনুরাগীরা।

বিপিএল’কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আরো বেশি করে তরুণদের এর সাথে সম্পৃক্ত করাই এই আসরের মূল লক্ষ্য।

চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরি এলাকার বাসিন্দা আজিজুল ইসলামের মতে, ‘আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে আরো ভালভাবে তুলে ধরার জন্য এই ধরনের তারুণ্যের উৎসব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে। একইসাথে এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে যাতে বোঝা যায় আমরা কিভাবে নতুন বাংলাদেশকে দেখতে চাই। বিপিএল’র শুরুতে নতুনত্বের ছোঁয়ায় এবার তিন ভেন্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কনসার্টের আয়োজন করেছে। আমরা সেই কনসার্টে উপস্থিত থেকে পুরো পরিবেশ বেশ উপভোগ করেছি। অনেকেই এ ধরনের আয়োজন উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে ছুঁটে এসেছে।’

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের টিকেট কাউন্টারে চলমান বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের টিকেট কিনতে এসেছেন ইসলাম। এসময় তিনি বলেছেন এর আগে কখনই এত সুন্দরভাবে বিপিএলের টিকেট বিক্রি হয়নি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবারই প্রথমবারের মত অনলাইনে টিকেট বিক্রির প্রক্রিয়া চালু করেছে। যে কারণে ভক্তদের জন্য টিকেট ক্রয় প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে টিকেট কিনেছে, যে কারণে অযথা বুথে গিয়ে টিকেট কেনার অপ্রয়োজনীয় কোন চাপ ছিলনা।

ইসলাম আরো বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষরা সাধারণত ক্রীড়া পাগল হিসেবে পরিচিত। আমাদের এই ভেন্যুতে খুব কম সংখ্যক ম্যাচ আয়োজিত হয়। তবে প্রতিবারই বিপিএলর বেশ কিছু ম্যাচ বন্দর নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবারই ম্যাচ দেখার জন্য লম্বা লাইনে অপেক্ষা করে টিকেট কেনার ঝামেলা পোহাতে হয়। এবার সবকিছুই শান্ত মনে হচ্ছে। তবে এর অর্থ এই নয়যে মানুষের মধ্যে ম্যাচ দেখার আগ্রহ কমে গেছে। এবার মানুষের মধ্যে আগ্রহ বরং কয়েক গুণ বেড়েছে।

এর পেছনে একটাই কারণ থাকতে পারে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এবারের বিপিএল আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিসিবি। তারুণ্যের উৎসবও এবারের আয়োজনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। এর ফলে বিপিএল পূর্ণাঙ্গ মাত্রা পেয়েছে।’

এদিকে অনেকেই বিশ্বাস করেন জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেবার জন্য বিপিএল একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে। চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুমন রায়হান বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট সরকার পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু নতুন বাংলাদেশ গঠনের পাশাপাশি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এখনো লড়াই শেষ হয়নি। আমরা জেনেছি যে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিপিএল’কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিজেই একটি রোডম্যাপ দিয়েছেন। যার মাধ্যমে আমরা দেশ ও দেশের বাইরে জুলাই অভ্যুত্থানের গতি তুলে ধরতে পারবো। আমরাও বিশ্বাস করি বিপিএলের মাধ্যমে এটা অর্জন করা সম্ভব।’

ঢাকা ও সিলেট ভেন্যুর মতই চট্টগ্রামেও বিসিবি আবু সাঈদ স্ট্যান্ড চালু করেছে। একইসাথে দর্শকদের বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহ করার জন্য মুগ্ধ কর্ণারও তৈরি করা হয়েছে।

গত ১৬ জুলাই ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে রংপুরে আবু সাঈদ নিহত হন। আবু সাঈদের শহীদ হবার ঘটনাটি দেশব্যাপী আন্দোলনের সূচনা করে। আবু সাঈদ হয়ে ওঠেন বিদ্রোহের প্রতীক।

এদিকে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পানি বিতরণের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম এর আগে বলেছিলেন, আবু সাঈদ স্ট্যান্ড এবং মুগ্ধ কর্নার জুলাই বিদ্রোহের প্রতীক। ওই দুই শহীদের স্মৃতির মধ্য দিয়ে বিসিবি কার্যত আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সবাইকে স্মরণ করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: