ঢাকা | সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১

টাঙ্গাইলে রুপা হত্যা মামলার রায় : চার জনের ফাঁসি ও একজনের সাত বছর দন্ড

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:০১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:০১

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে চারজনের ফাঁসি ও একজনের সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডা দিয়েছে আদালত।


আজ সকালে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় প্রদান করেন। 


ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫)। সাতবছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি বাসের সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫)। এদের সবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।


টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম নাছিমুল আক্তার ও মামলার আইনজীবী এস আকবর খান বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়ায় সকলেই খুশি। এ মামলার সকল আসামি পরিবহন শ্রমিক। 


অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী দয়াল বলেন, মামলায় অনেক ত্রুটি রয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো। সেখানে অবশ্যই ন্যায় বিচার পাব।


নিহত রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, আমার বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছিলাম। আদালতে তা প্রমাণ হয়েছে। আমরা এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। 


মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে কলেজ ছাত্রী রুপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রুপার মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রুপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে নিহতের ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।


২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার আসামীরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে।-খবর বাসসের



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: