odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 31st October 2025, ৩১st October ২০২৫

অর্থ পাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩০ January ২০২৫ ২৩:২৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩০ January ২০২৫ ২৩:২৯

অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াকে সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মাসুদ পারভেজ আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

এনু-রুপন ছাড়াও রায়ে তাদের সহযোগী শহিদুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, মিরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, তুহিন মুন্সি, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম ও জয় গোপাল সরকারের চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো ৩ মাসের কারাভোগ করতে হবে।

এই মামলার ঘটনায় জব্দকৃত ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বাসস'কে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ রায় ঘোষণার আগে কারাগারে আটক এনু, রুপন, শহিদুল ও নবীর হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা সাইফুল ইসলাম ও জয় গোপাল আদালতে হাজির হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পরে সাজা পরোয়ানাসহ তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে পলাতক থাকায় অন্য দুই আসামি মেরাজুল ও তুহিনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-৩ এর একটি দল রাত ১১টা ৩০ মিনিটের সময় রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন বানিয়াগরের ৩১ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় রুপন ভূঁইয়ার শোয়ার ঘরের ভেতর দুটি লোহার সিন্দুক থেকে বিপুল পরিমাণ সোনার অলংকার ও টাকা উদ্ধার করে। একটি সিন্দুক থেকে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব। আরেকটি সিন্দুক থেকে বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার যার মোট ওজন ৫ হাজার ১৬৩ গ্রাম। অলংকারগুলোর মোট মূল্য আড়াই কোটি টাকা। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাশার সূত্রাপুর থানায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড অর্গানাইজড ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ ২০২১ সালের ৭ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১১ জন আদালতে আদালতে সাক্ষ্য দেন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: