বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকলের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নতুন বছরের অঙ্গীকার হবে—একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন এবং জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে গণমাধ্যমে পাঠানো এক নববর্ষের বাণীতে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
বাণীতে তিনি বলেন, ইংরেজি নববর্ষ কেবল একটি উৎসব নয়—এটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও চেতনার প্রতিচ্ছবি। নতুন বছরের আগমন পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন আশা, আনন্দ ও সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে আসে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জাতিগোষ্ঠী নিজ নিজ ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে এই উৎসব উদযাপন করে, যা মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে।
তারেক রহমান বলেন, নতুন বছরে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি—যেখানে প্রত্যেক নাগরিক হবে গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেক কণ্ঠ থাকবে স্বাধীন। গণতন্ত্রের মূল শক্তি জনগণ, আর সেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য।
গত বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্জন ও সাফল্যের পাশাপাশি তিক্ত অভিজ্ঞতা ও প্রিয়জন হারানোর বেদনা আমাদের স্মৃতিতে এখনও জাগ্রত। এসব অভিজ্ঞতা থেকেই আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আজকের দিনে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার হওয়া উচিত—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।
বাণীতে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গণবিরোধী পরাজিত শক্তি জনগণের অধিকারকে বন্দী করে রেখেছিল। এখন সময় এসেছে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্রিত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার।
নববর্ষের তাৎপর্য তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, নতুন বছর নতুন প্রাণের স্পন্দন, নতুন আশা ও অমিত সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে আসে। অন্যায়, অবিচার ও নিপীড়ন চিরতরে দূর হয়ে যাক—এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।
শেষে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়—আসুন ভালোবাসা, পরমতসহিষ্ণুতা, শান্তি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়ে তুলি। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করি।”

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: