odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 26th October 2025, ২৬th October ২০২৫

বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্ল্যান্ট চালু করেছে সিঙ্গার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩০ January ২০২৫ ২৩:৪০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩০ January ২০২৫ ২৩:৪০

বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সিঙ্গার-এর মূল প্রতিষ্ঠান বেকো’র সহযোগিতায় অত্যাধুনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্ল্যান্ট চালু করেছে। এই প্ল্যান্টে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কন্ডিশনার ও অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস তৈরি করা হবে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্প্রতি এই হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্ল্যান্ট’র উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।

এই প্ল্যান্টটি ১৩৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। এই উদ্যোগটি সিঙ্গার বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে কনজিউমারস ডিউরেবলসের একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিকা রাখবে এই প্ল্যান্ট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেকো ও সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। কচ হোল্ডিং-এর কনজ্যুমার ডিউরেবলস গ্রুপের সভাপতি ড. ফাতিহ কেমাল এবিচলিওলু, বেকো’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাকান বুলগুরলু, বেকো’র তুর্কিয়ে ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিও) জান ডিনচার, বেকো’র প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) বারিস আলপারসলান, বেকো’র প্রধান উৎপাদন ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা নিহাত বাইজ, বেকো’র প্রধান ক্রয় ও সাপ্লাই চেইন কর্মকর্তা জেম কুরাল, বেকো’র দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাহী পরিচালক (অর্থ বিভাগ) সিবেল কেসলার, বেকো’র দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক বিপণন, ব্যবসায়িক রূপান্তর এবং বৃদ্ধি বিভাগের পরিচালক হানদান আবদুররাহমানোলু এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম এইচ এম ফাইরোজ এদের মধ্যে অন্যতম।

নতুন এই কারখানাটি কেবল সিঙ্গার বাংলাদেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে না; বরং বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থানকেও শক্তিশালী করবে বলে উল্লেখ করেন- কচ হোল্ডিং-এর কনজ্যুমার ডিউরেবলস গ্রুপ-এর সভাপতি ড. ফাতিহ কেমাল এবিচলিওলু। তিনি বলেন, ‘কোচ হোল্ডিংসে আমরা আমাদের মূল্যবোধ ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিভিন্ন রকম বাজারের পরিবর্তনশীল বাজারের চাহিদা পূরণে, প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য উপযোগী সমাধান নিশ্চিত করতে এবং শিল্পখাত ও কমিউনিটি উভয়েরই উন্নতি হবে এমনভাবে আমাদের বিনিয়োগের কৌশল নির্ধারণ করা হয়। তরুণ ও উদ্যমী জনশক্তি এবং দ্রুত নগরায়নের কারণে দক্ষিণ এশিয়া আমাদের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। তিনি বলেন- বিশেষত, আঞ্চলিক ম্যানুফেকচারিং হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি হিসেবে এই কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বিকশিত করা হবে। আমাদের বিশ্বাস, এটি এই অঞ্চলের বাকিদের জন্য মানদণ্ড নির্ধারণে সহায়ক হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: