ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১

ইবিতে প্রক্টর স্যারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৫

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর ও ইইই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইইই বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি ) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।

এমন সময় তার 'প্রক্টর স্যার আহত কেন? প্রশাসন জবাব চাই', 'হামলাকারীরা আস্তানা এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'হামলাকারীর বিচার চাই-করতে হবে করতে হবে' এমন বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণদিত ভাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামানের হামলা করা হয়। আজকে একজন শিক্ষকের গায়ে হাততোলা হয়েছে। প্রক্টর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বচ্চ আইন কর্মকর্তা। তার গায়ে হাততোলা তোলা মানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে হাততোলা।যেখানে আজকে প্রক্টর স্যারের উপরে হালমা হয়েছে কাল ভিসি স্যারের উপর হামলা করবে না এটার ব্যাখ্যা কী? এটা যদি বিচার না করা হয় ভবিষ্যতে তার আরো সাহস পাবে, আরো বড়কিছু করার চেষ্টা করবে।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্বশীল যিনি তার উপর যখন হামলা হয় স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নবৃদ্ধ হয়। তোমার ইতো মধ্যে জেনেছো এ এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।অতি দ্রুতই তোমাদের দাবির একটা সমাধান আসবে। তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তোমরা একটু ধৈর্য ধারণ করো। তোমাদের দাবির সাথে আমরা একমত। তদন্তে যারা দোষী সাবস্ত হবে তাদের উপর প্রশাসন অবশ্যই সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে এই ঘটনার দৃষ্টিান্তমূলক বিচার হবে। যা বিশ্ববিদ্যালের ৪০ বছরও হয়নি এমন বিচার করবে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারের কিছুটা হেরফের মনে হলে প্রয়োজনে আমরা বিচার বিভাগীয় পর্যন্ত নিয়ে যাব।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে বাসে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ও আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় মারামারি থামাতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও অন্য শিক্ষকরা আহত হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: