
টিম সেইফার্টের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শেষ ও পঞ্চম ম্যাচে সফরকারী পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ১২৮ রানের মামুলি সংগ্রহ পায়। জবাবে সেইফার্টের ৩৮ বলে অপরাজিত ৯৭ রানে ভর করে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে কিউইরা।
এর মধ্যে সেইফার্ট পাকিস্তানী পেসার জাহানদাদ খানের প্রথম ওভারেই নিয়েছেন ১৮ রান। আরেক ওপেনার ফিন এ্যালেন মোহাম্মদ আলির দ্বিতীয় ওভারে নিয়েছেন ১৪ রান।
ষষ্ঠ ওভারে জাহানদাদ যখন আবারো বোলিংয়ে ফিরেন সেইফার্ট তখন আরো বেশী আগ্রাসী হয়ে উঠেন। এই ওভারে সেইফার্ট তিনটি ওভার বাউন্ডারিসহ ২৫ রান নিয়েছেন।
সেইফার্টের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ১০টি ওভার বাউন্ডারি। এ্যালেন ১২ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সহায়তায় করেছেন ২৭ রান। দলীয় ৯৩ রানে সপ্তম ওভারে ফিন প্রথম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফিরেন।
মার্ক চ্যাপম্যান এসে উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তিন রানে স্টাম্পড হয়ে তিনি উল্টো পথ ধরেন। কিন্তু তারপরও ড্যারিল মিচেলকে সাথে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিতে সেইফার্টের খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।
পাকিস্তানী অধিনায়ক সালমান আগা অবশ্য ম্যাচ শেষে বলেছেন তরুন দলটির অভিজ্ঞতা সঞ্চয় এই সিরিজের একমাত্র ইতিবাচক দিক, ‘অবশ্যই নিউজিল্যান্ড অসাধারন একটি দল। সব কৃতিত্ব তাদেরই। পুরো সিরিজে তারা আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। কিন্তু আমার দলেরও কিছু ইতিবাচক অর্জণ রয়েছে যা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
আমরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের থেকে অভিজ্ঞ দল। আমরা এই সিরিজ থেকে অবশ্যই কিছু শেখার চেষ্টা করেছি।’
ব্যাটিং বিপর্যয় কার্যত এই সিরিজে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল পাকিস্তানের। আজকের ম্যাচেও একমাত্র সালমান ও সাদাব খান ছাড়া কোন ব্যাটারই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ৫২ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ রান যোগ করে এই জুটি। সাদাব ২০ বলে চারটি বাউন্ডারিসহ ২৮ রান ও ৩৯ বলে সালমানের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১। দুজনই পেসার জিমি নিশামের বলে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেছেন। চার ওভারে নিশাম ২২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টি২০তে এটাই নিশামের প্রথম ৫ উইকেট প্রাপ্তি।
এছাড়া জ্যাকব ডাফি ১৮ রানের নিয়েছেন ২ উইকেট।
আগামী শনিবার থেকে নেপিয়ারে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে দু’দল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: