
সংবেদনশীল ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে চলমান আলোচনা সত্ত্বেও, সোমবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে- তিনজন ইরানি নাগরিক ও তেহরানের প্রতিরক্ষামূলক উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ইরানি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে। সংস্থাটি পার্সিয়ান সংক্ষিপ্ত রূপ এসপিএনডি হিসেবে পরিচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারণ করে চলেছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দ্বৈত-ব্যবহার গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে।’
তিনি বলেন, ইরানই বিশ্বের একমাত্র দেশ যার পারমাণবিক অস্ত্র নেই, তবে দেশটিতে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ রয়েছে। এই স্তরটি ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির অধীনে নির্ধারিত সর্বোচ্চ ৩.৬৭ শতাংশের অনেক বেশি ছাড়িয়ে যায় । পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধকরণ প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫সালের ওই চুক্তি প্রত্যাহার করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের গত মাসে শুরু হওয়া আলোচনার লক্ষ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। চতুর্থ দফার আলোচনা শেষ হওয়ার একদিন পরই সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করলো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: