
অধিকার পত্র ডটকম নিউজ ডেক্স রিপোর্ট :
জেরুজালেমের পুরোনো শহরের হারাম আল-শরিফ কমপ্লেক্সের আল-আকসা মসজিদ শুধু মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থানই নয়—এটি ধর্ম, ইতিহাস ও জাতীয়তাবাদী স্বার্থের সম্মিলনে আজ একটি গভীর রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতীক। সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনা আল-আকসার গভীরে ইতিহাস ও আধুনিক রাজনীতির মিল খুঁজে দিচ্ছে, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষকে শুধু স্থায়ী করেই দিচ্ছে না, বরং নতুন মাত্রা দিচ্ছে।
- ## ইসলামে আল-আকসার গুরুত্ব “ইসরা ও মিরাজ” ও নবী ওয়াহিদের প্রার্থনার মাধ্যমে স্বীকৃতি পায়।
- ## মসজিদ ও প্রাঙ্গণ পুরোনো জেরুজালেমের অভ্যন্তরে অবস্থিত, যেখানে রয়েছে “দোম অফ দ্য রক” ও আল-আকসা দুটোই।
- ## ইহুদিদের কাছে এই এলাকা “টেম্পল মাউন্ট” নামে পরিচিত, প্রথম ও দ্বিতীয় প্রাচীন উপাসনালয় এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
- ## ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম ও আল-আকসা প্রাঙ্গণ দখল করে। যদিও কার্যনির্বাহী ও তত্ত্বাবধান অনেকদিক থেকে জর্ডানের ওয়াকফ संस्था করে থাকে।
- ## সম্প্রতি ইসরায়েলি বসতি বৃদ্ধি, আল-আকসার নিচে সুড়ঙ্গ খনন, এবং রাজনৈতিক বক্তৃতার মাধ্যমে “জেরুজালেম চিরকাল ইসরায়েলের” দাবির মতো বক্তব্য উৎসব বা উদ্বেগ উভয়ই তৈরি করছে।
- ## ২০০০ সালে আরিয়েল শ্যারন টেম্পল মাউন্টে যাওয়ার ফলে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূত্রপাত হয়।
- ## ২০২১ ও ২০২৩-এ এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুভূতিকে নাড়া দিয়েছে—মসজিদে অভিযান, পুলিশ ও হতাশা, এবং গাজা থেকে রকেট হামলা সহ।
- ## জাতিসংঘ ও পরিবীক্ষক বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই এলাকা নিয়ে “গণ অনুপ্রবেশ”, “অপ্রত্যাশিত উত্তেজনা” ও “ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন” সম্পর্কিত ঘটনার কারণে।
- ## ধর্ম ও জাতীয়তার মিল: আল-আকসা শুধু ধর্মীয় স্থান নয়, এটি ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচিতির একটি স্তম্ভ। ইসরায়েলের কোথাও ধর্মের ভিত্তিতে কর্তৃত্ব দাবি করা গেলে তা সংঘর্ষের কারণে হয়ে ওঠে।
- ## আন্তর্জাতিক আইন ও স্বীকৃতি: পূর্ব জেরুজালেমের অবস্থান ও দখল-দাবি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি, যা শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাধা সৃষ্টি করছে।
- ## প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাবিত উত্তেজনা: যদি ভবিষ্যতে বসতি সম্প্রসারণ, ধর্মীয় কাজকর্মে হস্তক্ষেপ বা নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান বাড়ে, তা নতুন ধরণের উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে; বিশেষ করে যখন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা নেই বা সীমিত থাকে।
আল-আকসা মসজিদ শুধু এক ধর্মীয় স্থাপনা নয়; এটি ইতিহাস, রাজনৈতিক রাজনীতি ও মানুষের অনুভূতির মিল রয়েছে এমন এক জায়গা যা শান্তি ও সংঘর্ষ—দুর্ভেদ্য সীমারেখায় দাঁড়িয়ে আছে। এই স্থানের প্রতি সম্মান এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ছাড়া উত্তেজনা কম হবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: