
অধিকার পত্র ডেস্ক
গাজা সিটি, ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করছে ইসরায়েল। সেনারা রিমোট কন্ট্রোল বিস্ফোরকভর্তি যান ব্যবহার করে গাজা শহরের পুরো পাড়া-মহল্লা উড়িয়ে দিচ্ছে। তার আগে বাসিন্দাদের দেওয়া হয়েছে ‘শেষ সুযোগ’ শহর ছেড়ে দক্ষিণ গাজায় চলে যাওয়ার নির্দেশনা। এতে শত শত হাজার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা আটকানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার বড় শহরগুলোতে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তারা অবরুদ্ধ গাজায় সহায়তা পৌঁছানোর দাবি জানায় এবং ইসরায়েলের নিন্দা করে।
একই সময়ে, হামাস আলজাজিরাকে জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। ২০ দফার ওই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ থামানো। হামাস শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাবে বলে জানিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আলজাজিরার তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৬,২২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১,৬৮,৯৩৮ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হাজারো মানুষের লাশ চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়।
একদিকে ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়তে থাকা বিক্ষোভ—পরিস্থিতিকে জটিল থেকে আরও জটিল করে তুলছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: