খুলনা বিভাগীয় তায়কোয়ানডো ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে যশোরের শ্রেষ্ঠত্ব

যশোর, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে “খুলনা বিভাগীয় তায়কোয়ানডো ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫”। বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের আয়োজনে এবং খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগের ৮টি জেলা থেকে মোট ১৩০ জন (৮৫ জন পুরুষ ও ৪৫ জন নারী) খেলোয়াড় অংশ নেন।

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ২৪ স্বর্ণ, ১৯ রৌপ্য ও ১৩ তাম্র পদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।
১ম রানার্স আপ: কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা (১৪ স্বর্ণ, ৮ রৌপ্য, ৭ তাম্র)
২য় রানার্স আপ: নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা (৪ স্বর্ণ, ৫ রৌপ্য, ৩ তাম্র)

 কর্তৃপক্ষ ও অতিথিদের বক্তব্য:
বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল মোঃ হাবিব উল্লাহ বলেন,

“তায়কোয়ানডো তরুণদের শৃঙ্খলা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্বশীলতার শিক্ষা দেয়। বিভাগীয় পর্যায়ের এ আয়োজন ভবিষ্যতে বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরিতে সহায়ক হবে।”

বিশেষ অতিথি হাসানুজ্জামান খান বাবুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ফেডারেশন বলেন,

“তায়কোয়ানডো তরুণদের সঠিক পথে পরিচালিত করে; খেলোয়াড়দের আরও এগিয়ে যেতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

প্রধান সমন্বয়ক তবিবুর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রশিক্ষক, যশোর তায়কোয়ানডো ক্লাব বলেন,

“যশোরে তায়কোয়ানডোর আগ্রহ বাড়লেও অবকাঠামোগত ঘাটতি ও সরঞ্জাম সংকটে প্রতিভারা পিছিয়ে যাচ্ছে। আমরা ফেডারেশনের সুদৃষ্টি আশা করি।”

যশোর তায়কোয়ানডো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস কে মোঃ ওয়ালিউর রহমান বলেন,

“২০১৭ সাল থেকে যশোরে তায়কোয়ানডোর বিকাশ শুরু হলেও ফেডারেশনের অসহযোগিতায় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলাম। বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর এ খেলার বিস্তার সারাদেশে বেড়েছে। ভবিষ্যতে এখান থেকেই উঠবে দেশের অলিম্পিক তারকা।”

যশোর জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ আজাহারুল ইসলাম বলেন,

“যুব সমাজকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। প্রশাসন তায়কোয়ানডোর উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”

রেফারির দায়িত্বে ছিলেন মোঃ মোজাফফর হোসেন বুলু, এস কে মোঃ ওয়ালিউর রহমান, মুমিত হাসান, শ্রাবন্তী ইসলাম, আসিক মাহমুদ, ইহতেশামুল আলম, আল মুনতাকিম মুহিত, মোঃ লুয়াকত হোসেন তরফদার ও আব্দুল্লাহ আল তাওহিদ প্রমুখ।

 প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এখানকার খেলোয়াড়রা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের গৌরব বৃদ্ধি করবেন।